রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের কক্ষে এক শিক্ষার্থীকে শিবির ট্যাগ দিয়ে ছাত্রলীগের হত্যার হুমকি ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় প্রশাসনের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। এতে শাস্তির সুপারিশ করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

তদন্ত প্রতিবেদনে শাস্তির সুপারিশের বিষয়ে কমিটি সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের হলে আজীবন আবাসিকতা না দেওয়ার এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে দৈনিক যুগান্তরকে তথ্যটি জানিয়েছেন সোহরাওয়ার্দী হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন।

জানতে চাইলে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা গত মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিয়ে একটা সভা শেষ করে বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তদন্ত প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছি। প্রতিবেদনে শাস্তির সুপারিশগুলো যদিও অনেক মিডিয়াতে বিষয়টা চলে এসেছে, তবুও এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না- এটা একটা গোপনীয় বিষয়। যারা তদন্ত কমিটির সদস্য, তারাই হয়তো বলতে পারবেন।

তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আমরা পেয়েছি। বিষয়টি কবে শৃঙ্খলা কমিটিতে উঠবে এজন্য উপাচার্য স্যারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। স্যারের সঙ্গে একবার কথা হয়েছিল, তারিখও দিয়েছিলেন, কিন্তু সঙ্গতকারণে সেদিন শৃঙ্খলা কমিটির সভাটি হয়নি। পরবর্তী মিটিংয়ে বিষয়টা উত্থাপিত হতে পারে।

শৃঙ্খলা কমিটির সভার বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

প্রসঙ্গত, ১৪ ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী বিরুদ্ধে শিবির ট্যাগ দিয়ে হত্যার হুমকি এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী কৃষ্ণ রায়। প্রক্টর দপ্তরে দেওয়া ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিযোগপত্রে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম ইসলাম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সোলাইমানসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ্য করা হয়।