‘বই মানুষকে সুখ ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়’
সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৫২ পিএম
স্থানীয় সরকার, পল্লা উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, অতীতে দেশ দখল করে সম্পদ অর্জন করা হতো। বর্তমানে আর তার দরকার হয় না। এখন জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে সম্পদশালী হওয়া সম্ভব।
জ্ঞানই আলো এবং সমৃদ্ধির উৎস জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জ্ঞানের আধার হচ্ছে বই এবং লাইব্রেরি।
শনিবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত জাতীয় গ্রন্থাগার ও সাহিত্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সম্মেলনে প্রধান আলোচক ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদের সভাপতি মালিক খসরু।
সম্মেলন শুরুর আগে সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা দোয়েল চত্বর হয়ে শিশু একাডেমিতে প্রবেশ করে। শোভাযাত্রায় প্রত্যেকের হাতে একটি করে বই ছিল। বই পড়ার প্রতি সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে এই শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তিতায় বইকে মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, বই পড়ার মাধ্যমে মানুষ স্বপ্ন দেখে। বই মানুষকে অনন্ত সুখ ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়।
এ সময় তিনি আরও বলেন, বইয়ের মাধ্যমে লেখকের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও স্বপ্ন প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম সঞ্চারিত হয়। জ্ঞানের এই অগ্রসরতাই সভ্যতাকে এগিয়ে নেয়।
এ সময় তিনি বই পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞান, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটসহ বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের আহ্বান জানান।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ বলেন, আমরা প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত আলোকিত প্রজন্ম গড়ে তুলতে চাই। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সে লক্ষ্যে কাজ করছে। আমরা বর্তমানে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের মাধ্যমে ৮৭২টি পাঠাগারকে অনুদান প্রদান করছি এবং খুব দ্রুত এর পরিধি বৃদ্ধি করতে চাই। আমরা পরীক্ষামূলকভাবে ১০০টি সেলুন লাইব্রেরি চালু করেছি, যা পুরোপুরি সফল হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের ডিজিটালাইজেশন প্রকল্প হাতে নিয়েছি, যেখানে সরকারি পাঠাগারের পাশাপাশি বেসরকারি গ্রন্থাগারগুলোও সংযুক্ত থাকবে।