Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

ঢাবির সাদা দলের সভায় হট্টগোল

Icon

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৫ নভেম্বর ২০২২, ০৬:৪৩ এএম

ঢাবির সাদা দলের সভায় হট্টগোল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের সভায় হট্টগোল হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে এ ঘটনা ঘটে। 

সূত্র জানায়, সাদা দলের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের অংশ হিসেবে বিভিন্ন ইউনিট থেকে নাম প্রস্তাব করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ শাখা সাদা দলের সভা ডাকা হয়। সভায় মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান এবিএম শহীদুল ইসলাম এবং বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমানের পুরোনো একটি ‘মীমাংসিত’ দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।  

সূত্র জানায়, গত ১৫ জুন জার্নাল কমিটির সভায় মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান এবিএম শহীদুল ইসলাম ও অধ্যাপক মিজানুর রহমানের মধ্যে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিয়ে সাদা দল ব্যবসায় অনুষদ শাখার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অধ্যাপক মিজানুর রহমান চারদিনের সফরে কানাডায় থাকাকালীন এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ জুন মাগরিবের নামাজের পর তড়িঘড়ি করে দলের অধিকাংশ সদস্যের অনুপস্থিতিতে এবং একজন  সদস্যের নোট অব ডিসেন্ট নিয়ে ড. মিজানের সদস্যপদ ‘সাময়িক স্থগিত’ রাখা হয়। এরপর ১ অক্টোবর মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শহীদুল অধ্যাপক মিজানের বিরুদ্ধে তার অভিযোগ লিখিতভাবে প্রত্যাহার করে নেন।  

অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার ফলে বৃহস্পতিবার ব্যবসায় অনুষদ শাখা সাদা দলের সভায় অধ্যাপক মিজানুর রহমান হাজির হলে দুই-তিনজন শিক্ষক অধ্যাপক মিজানের উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি তোলেন। তবে উপস্থিত অন্য ৯ জন শিক্ষক মিজানের উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি তোলেননি। এ সময় ‘অফিশিয়ালি কোনো সিদ্ধান্ত না জানানো এবং যে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যাপক মিজানকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, সে অভিযোগ প্রত্যাহার সত্ত্বেও কেন তার অব্যাহতি প্রত্যাহার হবে না’ তা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সাময়িক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, আমার বিষয়ে ইতোপূর্বে আদৌ কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা আমাকে জানানো হয়নি। কোনো অভিযোগ প্রসঙ্গে কখনো আমার বক্তব্য নেওয়া হয়নি। এ কারণে যথারীতি আমি গতকালের সভায় হাজির হই। কিন্তু কয়েকজন সদস্য আমার সঙ্গে অনাকাঙিক্ষত আচরণ করেন।  

তিনি আরও বলেন, একাডেমিক কমিটির একটি মীমাংসিত বিষয় কখনই সাদা দলের এজেন্ডা হতে পারে না। আমার বিরুদ্ধে আদতে কী অভিযোগ সেটা আমাকে জানার এবং সে বিষয়ে আমার বক্তব্য তুলে ধরার ন্যূনতম কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। আজ পর্যন্ত অফিশিয়ালি আমি জানি না, আসলে আমার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ। অথচ তারা অযাচিত ইস্যু তৈরির চেষ্টা করে যাচ্ছে।  

সভার একটি সূত্র জানায়, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক সহযোগী অধ্যাপক আল-আমিন অনেক জুনিয়র হওয়া সত্ত্বেও অধ্যাপক মিজানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। 

অভিযোগের বিষয়ে আল আমিন বলেন, সভায় অধ্যাপক মিজান একজনের ওপর চড়াও হয়েছেন। তবে আল আমিন যার কথা বলছেন তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। সভায় উপস্থিত ৯ জন শিক্ষক হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন। 

সার্বিক বিষয়ে ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জাহিদ গতকালের সভায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। অধ্যাপক মিজানের ‘বিধিবহির্ভূত অব্যাহতির প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন- ‘যথাযথ প্রক্রিয়া মেনেই এটি করা হয়েছে’। 

অব্যাহতির সিদ্ধান্ত ড. মিজানকে জানানো হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, ‘উনি জেনেছেন।’ যে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে সেটা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জেনেছি। এখন দলের ফোরামে তুলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ 

তিনি আরও বলেন, যার সম্পর্কে অভিযোগে তিনি সাময়িকভাবে অব্যাহতিতে আছেন। তারপরও তিনি আজকের মিটিংয়ে এসেছিলেন। আমাদের আনুষ্ঠানিক এজেন্ডার বাইরেও তার ব্যক্তিগত একটি এজেন্ডা নিয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন; যা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করে; যা আমাদের জন্য অপ্রত্যাশিত ছিল।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম