জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার আহ্বান ভিসি হারুনের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২১, ০৫:০৮ এএম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দুই মেয়াদ পূর্তি উপলক্ষ্যে সোমবার এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে এ সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করা হয়।
অধ্যাপক হারুন বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময়কার অভিশাপ সেশনজট এখন আর নেই। ইমেজ সংকটও নেই। কিছু দিন আগেও এটিকে শিক্ষা বোর্ড হিসেবে দেখা হতো।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়মনীতি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে এসে ‘দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন’–এ নীতি অনুসরণ এবং নানা ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করে ‘শিক্ষা বোর্ডের’ ইমেজ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সমর্থ হয়েছি।
এ সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যায়ের ভিসি হারুন বিগত আট বছরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, সাফল্য ও অগ্রগতি তুলে ধরেন। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালন ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
সব ধরনের সীমাবদ্ধতা ও প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন আঙ্গিকে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আজ একটি আইটিভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়। ৯৫ শতাংশ কর্মকাণ্ড অনলাইনের মাধ্যমে সম্পাদন করা হয়ে থাকে। একই সঙ্গে প্রশাসন ব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রিকরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে এক একর করে ভূমির ওপর তিনটি নিজস্ব স্থায়ী আঞ্চলিক কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। সারা দেশে অঞ্চলভিত্তিক আরও ছয়টি স্থায়ী আঞ্চলিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। ক্যাম্পাসে আগে কারও জন্য কোনো আবাসনের ব্যবস্থা ছিল না। এখন ১০ তলা ভিত্তি দিয়ে ছয় তলাবিশিষ্ট দুটি ভবনসহ পাঁচটি ভবন নির্মিত হচ্ছে। প্রথম দুটি ভবনের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
ভিসি হারুন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন পদ্ধতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ও অবকাঠামোগত সম্প্রসারণ ছাড়াও নতুন নতুন একাডেমিক কোর্স প্রবর্তন করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কলেজসমূহ প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি কর্মমুখী ও টেকনিক্যাল বিষয়ে শর্টকোর্স বা ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম চালুর কথা আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সততা, নিষ্ঠা আর ঐকান্তিকতার কমতি ছিল না বলেও মন্তব্য করে তিনি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, আমি মনে-প্রাণে, চিন্তা-চেতনায় জাতির পিতার আদর্শের অনুসারী। বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ও আদর্শ হলো দেশ আর মানুষের জন্য সর্বস্ব ত্যাগ, ভোগ বা বিত্তবৈভবের মালিক হওয়া নয়। যে কারণে অনেক দুর্নীতিবাজ, অন্যায়কারী আমার সময়ে যথোপযুক্ত শাস্তি পেয়েছে। অন্যদিকে যারা সৎ, নিষ্ঠাবান তাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে।
সততা ও নিষ্ঠা থাকলে মানুষের জীবনে কোনো কিছুই অসাধ্য নয়, যোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুনাজ আহমেদ নূর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান, স্নাতকপূর্ব স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দিন, কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামান, জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক ফয়জুল করিমসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা।