ডাকসু নির্বাচনে বস্তাভর্তি ব্যালট: ঢাবির মৈত্রী হলের সেই প্রভোস্টের পদাবনতি

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ জুলাই ২০২০, ০১:৩০ পিএম

ফাইল ছবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের ঘটনায় অভিযুক্ত বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট শবনম জাহানকে পদাবনতি দেয়া হয়েছে। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপকের পদ থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে ডিমোশন দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন এমন একজন সিন্ডিকেট সদস্য এই সিদ্ধান্তের কথা যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, শবনম জাহানকে কুয়েত মৈত্রী হলে ডাকসুর হল সংসদের ভোটে অনিয়মের ঘটনায় আগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। এবার তাকে পদাবনতি দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কেউ অনিয়ম করে ছাড় পায় না, গতকাল সিন্ডিকেট সেটাই প্রমাণ করল। পদাবনতি দিয়ে তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে।
দীর্ঘ ২৮ বছর পর গতবছর ১১ মার্চ ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন হয়। সেদিন সকালে ভোট শুরুর আগেই কুয়েত-মৈত্রী হলের একটি কক্ষ থেকে বস্তাভর্তি ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়। যেগুলোতে ছাত্রলীগের প্রার্থীদের পক্ষে সিল মারা ছিল।
ওই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠে ক্যাম্পাস। পরে তাৎক্ষণিকভাবে শবনম জাহানকে ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিনকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তার প্রশাসনের অধীনেই সেখানে ভোটগ্রহণ হয়।
হলে ভোট কারচুপির ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ।
ওই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে গত বছর ২৮ মার্চ শবনম জাহানকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট৷ পরে ওই ঘটনার অধিকতর তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হককে প্রধান করে ৫ সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি করা হয়।
এক বছরের বেশি সময় পর ওই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই শিক্ষককে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত না করে পদাবনতি দেয়া হল।
ওই নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা হলের আরও দুজন আবাসিক শিক্ষককেও অনিয়মের জন্য দায়ী করা হয়েছে প্রতিবেদন। তবে তাদের কোনো শাস্তি না দিয়ে 'সতর্ক' করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট।