আগের বছরের প্রশ্নপত্রে ২০১৯ সালের পরীক্ষা নিল ইবির ইংরেজি বিভাগ!

ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ০২:০১ পিএম

পরীক্ষা দিতে বসে বিপাকে পড়ল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) তৃতীয় বর্ষের কোর্স ফাইনালের পরীক্ষার্থীরা। কারণ তাদের হাতে যে প্রশ্নপত্র দেয়া হলো তার সঙ্গে হুবহু মিল পাওয়া গেল ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্রে।
গত ৯ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ৩০৫নং কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কোর্সের শিরোনাম- ‘এলিজাবেদিয়ান অ্যান্ড জেকোবিয়ান ড্রামা’। আর সেই পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ৪টি প্রশ্ন বাদে সব প্রশ্নই ছিল ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত প্রশ্নপত্রের প্রশ্ন।
এমন অভিযোগ এনে ওই কোর্সে ফল বিপর্যয়ের আশঙ্কা করেছেন একাধিক শিক্ষার্থী।
তারা গণমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ২০১৯ সালের তৃতীয় বর্ষের কোর্স ফাইনাল পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্রের হুবহু মিল পাওয়া গেছে। এমন প্রশ্নে আমরা অনেকেই ভালো পরীক্ষা দিতে পারিনি।
এর কারণ হিসেবে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘স্বাভাবিকভাবে আগের বছরের প্রশ্ন বাদ দিয়ে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া হয়। সেই বিষয়গুলো আমরা অত গুরুত্বসহকারে প্রিপারেশন নিয়ে আসি না। সেগুলো বাদে বাকি বিষয়গুলোতে জোর প্রস্তুতি থাকে। এটিই নিয়ম। কিন্তু হলে এসে দেখি আগের বছরের প্রশ্নে ভরে আছে প্রশ্নপত্র। তাই পাস করা নিয়ে টেনশনে আছি। এখন এর দায়ভার কে নেবে?’
এ বিষয় সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক শিক্ষক বলেন, ‘যতদূর জানি পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্নের সঙ্গে পরবর্তী বছরের প্রশ্নে কোনোভাবেই ২০ শতাংশের বেশি মিল থাকে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী এমন নিয়মই চালু আছে। কিন্তু এখন নতুন কোনো নিয়ম হলে তা আমার জানা নেই।’
পরীক্ষা কমিটির অবহেলার কারণে এবারের প্রশ্নপত্র ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নের সঙ্গে মিলে গেছে বলে দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য একটি বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক।
তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে দুই-একটি প্রশ্নের পুনারাবৃত্তি ঘটতে পারে। কিন্তু তার ২০ শতাংশের বেশি হওয়ার রীতি নেই। কিন্তু একই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া পরীক্ষা কমিটির অবহেলা ছাড়া কিছুই নয়। এটি পরীক্ষা কমিটি কেন করল তা আমার বোধগম্য নয়।’
এমন সব অভিযোগের জবাব দিয়েছে পরীক্ষা কমিটি। কমিটির সভাপতি ও বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসগর হোসাইন বলেন, ‘পরীক্ষা কমিটি যেভাবে খুশি প্রশ্ন করতে পারে। এ ব্যাপারে কোনো বিধিনিষেধ আছে বলে আমার জানা নেই। তবে যেহেতু শিক্ষার্থীরা ভালো পরীক্ষা দেয়নি আর এ বিষয়ে অভিযোগ এসেছে, তাই বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।’
ইবির ইংরেজি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ৩০৫নং কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষায় ৮০ নম্বরের প্রশ্নপত্রে ৫ সেটে দশটি প্রশ্ন ছিল। সেই প্রশ্নপত্রের ১৪টি প্রশ্নের সঙ্গে ১৮ সালের প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া গেছে।