বহিরাগতদের মারামারিতে আহত ইবি শিক্ষার্থী আহত
ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০১৯, ১০:১১ পিএম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরগতদের মারামারি, থামাতে গিয়ে শিক্ষার্থী রোকনুজ্জামান রোকন আহত (ইনসেটে)
প্রেমঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বহিরাগতদের মধ্যে মারামারি সংঘটিত হয়েছে।
বহিরগতদের মারামারি থামাতে গিয়ে আহত হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থী।
আহত ওই শিক্ষার্থীর নাম রোকনুজ্জামান রোকন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্রিকেট মাঠসংলগ্ন পেয়ারাতলায় এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী বসন্তপুর উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক প্রেমিক যুগল ক্যাম্পাসের ক্রিকেট মাঠসংলগ্ন পেয়ারাতলায় ঝোঁপে বসে ছিল।
এ সময় পূর্ব শত্রুতার জেরে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী শেখপাড়ার ইব্রাহীম খাঁর ছেলে আকাশ, এনারুল ইসলামের ছেলে ইমন ও রাজু ড্রাইভারের ছেলে সজিবসহ কয়েকজন বহিরাগত লাঠি হাতে ওই প্রেমিক যুগলের ওপর হামলা করে।
বহিরাগতরা কিল, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে প্রেমিককে উপর্যুপুরি মারধর করতে থাকে। একই এলাকার হওয়ায় সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রোকনুজ্জামান। রোকন তাদের মারামারি থামাতে গেলে বহিরাগতদের লাঠির আঘাতে মাথায় গুরুতর জখম হন।
পরে বহিরাগতরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত এবং ওই প্রেমিক যুগল সবাই শেখপাড়া পার্শ্ববর্তী প্রাম বসন্তপুর মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছ।
প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একে অন্যের মধ্যে বিরোধ চলছিল। প্রেমিক যুগলসহ ক্যাম্পাসে আসার খবরে পরিকল্পিতভাবে তারা এ ঘটনা ঘটায়।
আহত শিক্ষার্থী রোকনুজ্জামান বলেন, ঘটনার সময় আমি পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। তাদের মারামারি থামাতে গেলে আমার মাথায় লাঠির আঘাত লাগে।’
এ ঘটনার সংঘটিত হওয়ার পর সহকারী প্রক্টর হাফিজুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
শিক্ষাথীরা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ক্যাম্পাসে ইদানিং বহিরাগতদের প্রবেশ বেড়ে গেছে। বহিরাগতদের প্রবেশে জিরো টলারেন্স থাকলেও মূলত তা কার্যকর না থাকায় ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে বহিরাগতদের দ্বারা এমন কর্মকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. আনিচুর রহমান বলেন, আমরা বহিরাগতদের পরিচয় শনাক্ত করেছি। পুলিশের মাধ্যমে জড়িতদের এবং তাদের পিতা-মাতাকে ডেকে পাঠিয়েছি। আগামীকাল বসে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’