
প্রিন্ট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪২ পিএম
প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় কওমি শিক্ষা বোর্ডের তদন্ত কমিটি

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৪০ পিএম

আরও পড়ুন
বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের (বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ) চলমান ৪২তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষার মেশকাত জামাত (ফজিলত) দ্বিতীয় বর্ষের প্রশ্নফাঁসের অভিযোগের ভিত্তিতে বেফাক ১০ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার যাত্রাবাড়ীর কাজলায় বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বেফাকের সিনিয়র সহসভাপতি আল্লামা আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে একটি জরুরি বৈঠকে ওই কমিটি গঠন করা হয়।
সভায় ২টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এসব সিদ্ধান্তগুলো হলো- সব অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ইতিমধ্যে যারা চিহ্নিত হয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
গত ১৩ এপ্রিল বেফাকের পক্ষ থেকে ফজিলত দ্বিতীয় বর্ষের (মেশকাত জামাত) পরীক্ষা বাতিল করার পরও চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসাসহ সারা দেশের আরও কয়েকটি কেন্দ্রে ওই শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়া হয়। বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেসব কেন্দ্রের মেশকাত জামাতের অনুষ্ঠিত সব পরীক্ষাও বাতিল করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বেফাকের সিনিয়র সহসভাপতি আল্লামা আশরাফ আলী। অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহসভাপতি আল্লামা আযহার আলী আনোয়ার শাহ, আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমী, মুফতি মোহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা মুসলেহুদ্দিন রাজু, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, বেফাকের মহসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা মাহফুজুল হক ও মাওলানা নুরুল আমিন।
বৈঠকে উপস্থিত মাওলানা আযহার আলী আনোয়ার শাহ সাংবাদিকদের জানান, তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে প্রশ্নফাঁসে জড়িত ময়মনসিংহের ২ জন ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের জবানবন্দির ভিত্তিতে সামনে তদন্তের কাজ অগ্রসর হবে।
প্রসঙ্গত ৮ এপ্রিল থেকে সারা দেশে কওমি মাদ্রাসাগুলোর বোর্ড আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অধীনে ৬টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ২৬ হাজার ৭২১ জন শিক্ষার্থী দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের (বেফাক) ৪২তম কেন্দ্রীয় পরীক্ষা সারা দেশে ২৯টি জোনের মাধ্যমে এক হাজার ৪৮২টি কেন্দ্রে এক লাখ ৫২ হাজার ৩৯৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) ঢাকার মতিঝিলে আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কার্যালয়ে কো-চেয়ারম্যান আল্লামা আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে একটি জরুরি বৈঠক করে নেতারা প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল) এবং মেশকাত জামাত (ফজিলত) সব পরীক্ষা স্থগিত ও অনুষ্ঠিত সব পরীক্ষা বাতিল করে নতুন পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করে।