ডাকসু ভোট বর্জনের ঘোষণা ছাত্রদলেরও, মঙ্গলবার ধর্মঘটের ডাক
যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০১৯, ০৪:১৮ এএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। প্রহসনের ভোটের আয়োজন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের প্রতি ‘ঘৃণা’ জানিয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। পাশাপাশি নতুন করে তফসিল ঘোষণা করে পুনঃভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
সোমবার দুপুর ১টায় মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে একসঙ্গে ৫টি প্যানেল নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেয়। একই সঙ্গে তারা ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়ে আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জনের ডাক দিয়েছে।
ছাত্রদল ছাড়াও ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়া ৪টি প্যানেল হচ্ছে- বাম সংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্রঐক্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ ও স্বতন্ত্র জোট।
সংবাদ সম্মেলন করে প্রগতিশীল বামজোট, ছাত্র ফেডারেশন ও কোটা আন্দোলনসহ বিভিন্ন পদের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষ থেকে ভোট প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন বামজোটের সহসভাপতি প্রার্থী লিটন নন্দী। এ সময় অন্য প্যানেলের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। ছাত্রদলের প্রতিনিধিরাও এ সময় মধুর ক্যান্টিনে উপস্থিত থেকে সমর্থন দেন।
পরে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ছাত্রদল নেতারা ভিসির ভবনে যান। সেখানে তাকে না পেয়ে ভিসির বাংলোর সামনে গিয়ে অবস্থান নেন।
এ সময় ছাত্রদল নেতারা বলেন, আমরা এই প্রহসন ও জালিয়াতির নির্বাচন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। পাশাপাশি পুনঃতফসিল ঘোষণাপূর্বক নতুন নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। নির্বাচনের নতুন পরিচালনা কমিটি গঠন, একাডেমিক ভবনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন এবং স্বচ্ছ ব্যালটবাক্সে ভোটগ্রহণ করতে হবে।
প্রসঙ্গত ২৮ বছর পর অনুষ্ঠেয় ডাকসু নির্বাচন শুরু হয় সকাল ৮টায়। বেলা ২টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। এতে ৪৩ হাজার ২৫৬ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। মোট ভোটারের মধ্যে ছাত্র ২৬ হাজার ৯৪৪ এবং ছাত্রী ১৬ হাজার ৩১২ জন।
ডাকসুতে ২৫ পদে নির্বাচন হচ্ছে। বিভিন্ন পদের মধ্যে আছে ভিপি, জিএস, এজিএস একটি করে ৩টি। আরও আছে- সম্পাদকীয় ৯টি এবং ১৩টি সদস্যপদ। এসব পদের জন্য বিভিন্ন প্যানেল ও স্বতন্ত্রসহ প্রার্থী ২২৯ জন। তাদের মধ্যে স্বতন্ত্রসহ ভিপি ২১, জিএস ১৪ জন।
ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ১৩টি প্যানেল। অন্যদিকে প্রত্যেক হল সংসদে ১৩টি পদে নির্বাচন হচ্ছে। এর মধ্যে ভিপি, জিএস, এজিএস একটি করে তিনটি। আরও আছে সম্পাদকীয় ৬, সদস্য ৪টি। হল সংসদ (১৮টি হল, ২৩৪ পদে) প্রার্থী ৫০৯ জন। হল সংসদ ও ডাকসু মিলিয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে গড়ে ৩৮টি করে ভোট দিতে হয়। সুষ্ঠুভাবে ভোটের কাজ শেষ করতে রিটার্নিং অফিসারসহ (আরও) ৪২ জন কাজ করেন।