Logo
Logo
×

শিক্ষাঙ্গন

ডাকসুতে অংশ নিতে পারবেন না যারা

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:৩৮ পিএম

ডাকসুতে অংশ নিতে পারবেন না যারা

ছবি : যুগান্তর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী ও ভোটার হওয়ার নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের এক সভায় ডাকসু ও হল সংসদের গঠনতন্ত্রের বিষয়ে এসব সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। চূড়ান্ত করা হয় নির্বাচনের আচরণবিধিও।

 

এতে বলা হয়েছে, ডাকসু নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না সান্ধ্যকালীন, পেশাদারি অথবা বিশেষ মাস্টার্স, ডিপ্লোমা ও বিভিন্ন কোর্সের শিক্ষার্থীরা। ভোটার ও প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন অধিভুক্ত ও উপাদানকল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শিক্ষার্থী এবং সরকারি অথবা বেসরকারি চাকরিতে যোগদান করা শিক্ষার্থীরাও।

যারা অন্য প্রতিষ্ঠানে অনার্স করে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু মাস্টার্স অথবা এমফিল করছেন তারা ভোটার ও প্রার্থী হতে পারবেন না।

 

প্রার্থী ও ভোটার হবেন অনার্স, মাস্টার্স এবং এমফিল পর্যায়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য, তারাই প্রার্থী হতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে বয়স হতে হবে ৩০-এর মধ্যে (তফসিল ঘোষণার তারিখ পর্যন্ত)।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ১১ মার্চ বহুল আলোচিত এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

 

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। শেষ হয় রাত ৮টার দিকে।

 

ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় সিন্ডিকেটের ১৮ সদস্যের মধ্যে মাত্র একজন অনুপস্থিত ছিলেন। এর আগে গঠনতন্ত্র সংশোধন ও পরিমার্জনের জন্য গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটি এবং সাত সদস্যের আচরণবিধি প্রণয়ন কমিটি সিন্ডিকেটে তাদের প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

 

এসব প্রস্তাবনা ও সুপারিশ আলোচনা-পর্যালোচনা শেষে সিন্ডিকেট এ সিদ্ধান্ত নেয়। সিন্ডিকেট সূত্র জানায়, ডাকসুর গঠনতন্ত্রে চারটি বিষয়ে উল্লেখযোগ্য কিছু পরিবর্তন ও সংযোজন হয়েছে। সেগুলো হল- এমফিলে অধ্যয়নরতদের ভোটার ও প্রার্থিতার সুযোগ দেয়া, প্রার্থিতার বয়সসীমা ৩০ নির্ধারণ এবং ডাকসু সভাপতি ভিসির ক্ষমতা হ্রাস করে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা সিন্ডিকেটের প্রতি ন্যস্ত করা। এর বাইরে নতুন দুটি পদ সংযোজন করা হয়েছে।

 

প্রার্থিতার বিষয়ে সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির যুগান্তরকে বলেন, ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়ে যারা অনার্স, মাস্টার্স ও এমফিল পর্যায়ে অধ্যয়নরত এবং বয়স ৩০-এর মধ্যে আছে তারাই প্রার্থী ও ভোটার হতে পারবেন। আরেক সিন্ডিকেট সদস্য ড. মো. মিজানুর রহমান যুগান্তরকে জানান, যারা ভোটার হবে, তারাই প্রার্থী হতে পারবেন। সান্ধ্যকালীন কোর্স (এমবিএ, ইএমবিএ, এমএড ইত্যাদি), প্রোফেশনাল/এক্সিকিউটিভ/স্পেশাল মাস্টার্স/কোর্স, পিএইচডি, ডিবিএ অথবা সমমানের কোর্স, ডিপ্লোমা এবং সার্টিফিকেট কোর্স, ভাষার কোর্স এবং অন্যান্য কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা ভোটার হাতে পারবেন না।

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম