বকেয়া বেতনসহ ১০ দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষকরা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৮ পিএম
দুই বছরের বকেয়া বেতন-ভাতাসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন দেশের ৭৪টি এমপিওভুক্ত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিশেষ শিক্ষায় বৈষম্য দূরীকরণে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব দাবি জানান তারা।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০০৯ অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি ২০১০ সাল থেকে জাতীয় বেতন স্কেল ২০০৯ এর ভিত্তিতে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে ৫৫টি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয় রাজস্ব খাত থেকে বেতন ভাতা পেয়ে আসছে। পরবর্তীতে এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৭৪টি এমপিওভুক্ত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী বেতন ভাতা পেয়ে আসছে।
নীতিমালায় উল্লেখ আছে যে, সময়ে সময়ে বেতন স্কেল পরিবর্তনের সাথে সাথে আমরাও এর সুবিধা পাবো। কিন্তু দুঃখের বিষয় জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ সরকারী প্রতিষ্ঠানে ২০১৬ সাল থেকে কার্যকর হলেও সরকার আমাদের জন্য ২০১৮ সাল থেকে কার্যকর করেছে। ২০১৫-২০১৬ এবং ২০১৬-২০১৭ মোট ২ বছরের বকেয়া বেতন আমাদের এখনো দেয়া হয়নি। ২০১৮ সাল থেকে কয়েকবার আবেদন করা হলেও দুই বছরের বর্ধিত বকেয়া বেতন ভাতা আমরা এখনো পাইনি।
এ সময় ৭৪টি এমপিওভুক্ত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।
দাবিগুলো হলো-
জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইন-২০২৩ এর বিধিমালা, প্রবিধিমালা ও অর্গানোগ্রামে ৭৪টি এমপিওভূক্ত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়সমূহ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; বিএসএড পাশ করা শিক্ষকগণকে তাদের প্রাপ্য ন্যায্য ধাপে বেতন-ভাতা প্রদান করতে হবে; শিক্ষক-কর্মচারীদের সম্প্রতি জমাকৃত সিপিএফ-এর টাকা নিজ নিজ ব্যাংক হিসাব নম্বরে ফেরতপূর্বক পূর্বের ন্যায় প্রেরণ করতে হবে; ২০১৫-২০১৬ ও ২০১৬-২০১৭ বছরের বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান করতে হবে; ৭৪টি এমপিওভুক্ত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়সমূহের নীতিমালা অনুযায়ী পেনশন এবং গ্র্যাচুইটি প্রদান করতে হবে এবং শুন্য পদে ও সৃষ্ট পদে নিয়োগ দিতে হবে; পদোন্নতি, টাইম স্কেল প্রদান, বেতন বৈষম্য দূরকরণসহ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাস্তবায়ন করতে হবে।
এছাড়া সারা দেশে এমপিওভুক্ত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়সমূহের সার্বিক পরিচালনা ব্যয় এবং বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসসমূহের উদযাপন ব্যয় বাবদ বার্ষিক প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিত করে তা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে; ২০০৯ সালের পূর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত নন-বিএসএড ১৩৭ জন শিক্ষকের পূর্বের ধাপে বেতন প্রদান করতে হবে; প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ২৩ হাজার পরিবর্তন করে ২৯ হাজার টাকায় উন্নীত করতে হবে; এবং শিক্ষকদের ইনডেক্স নম্বর প্রদান করতে হবে ও শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলির ব্যবস্থা করতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন সারা দেশের ৭৪টি এমপিওভুক্ত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ক মো. ওমর ফারুক ভূঁইয়া। এছাড়া বক্তৃতা করেন মো. আব্দুর রাজ্জাক, মো. শামীম, মো. সোহেল, মো. খায়রুল ইসলাম প্রমুখ।