সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জে শিক্ষার্থীরা আহত, যা বললেন ঢাবি প্রক্টর
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মঙ্গলবার সাধারণ মানুষের দুটি পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে রাতে আজিমপুরে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের জের ধরে সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জে শিক্ষার্থীরা আহত হন। আহতদের মধ্যে দুজনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকার আজিমপুরে ঘটা এ ঘটনা নিয়ে বিবিসি বাংলার সঙ্গে কথা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদের।
তিনি বলেছেন, ‘আমার কাছে যে তথ্য আছে, ওখানে রাস্তার পাশে যে ভেন্ডর থাকে, ওদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কথা কাটাকাটি হয়েছে।’
সেই সূত্র ধরেই ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওখানের দোকানদারদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়’ এবং তারপর দোকানদাররা ‘বোধহয় আর্মির মোবাইল পেট্রোল টিমকে ডেকে নিয়ে আসে।’
তারপর সেনাবাহিনী দু’পক্ষকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ওদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে।
প্রক্টরের মতে, ‘এটা সৈনিকরা করেছে, অফিসাররা না। ওখানকার লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদকে আমি যখন ইনভলভ করি, তিনি এসে বিষয়টিকে সুন্দরভাবে ম্যানেজ করেছেন…কিন্তু কোনো এক ফাঁকে দুইজন শিক্ষার্থীকে ওরা (সৈনিকরা) ভেতরে নিয়ে যায়।’
যে দু’জনকে তুলে নিয়েছে, তাদের ‘ব্যাপকভাবে মেরেছে’ বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ওই দুইজন ব্যাপকভাবে জখম হয়েছে। এটা অফিসারদের অজ্ঞাতে হয়েছে। আহত ওই দুই শিক্ষার্থীদের প্রাথমিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। পরে তাদের রাত তিনটার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্যের উপস্থিতিতে সিএমএইচে পাঠানো হয়। সিএমএইচ-এর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহত শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে আপাতত কোনো শঙ্কা নেই।
তিনি আরও বলেন, তবে ওদের বিশ্রাম দরকার এখন। পরবর্তী ছয় ঘণ্টা পর বোঝা যাবে যে অন্য কোনও ট্রিটমেন্ট দরকার কি না। বিশেষ করে তাদের লোয়ার পার্টে…সেখানে জখমের চিহ্ন আছে। এই দু’জন শিক্ষার্থী মুহসিন হলের ছাত্র।
তবে গুরুতর আহতের সংখ্যা দু’জন হলেও সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জের কারণে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী।
প্রক্টর জানান, এ ঘটনা সেনাবাহিনী একটি তদন্ত করছে এবং তারা এই ইস্যুটা ‘খুব সিরিয়াসলি’ দেখবে।
তিনি আরও বলেন, তারা যেহেতু কথা দিয়েছেন, তাই আমরা মামলাতে যাইনি।
ঘটনার সময় এবং পরে ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে ফেসবুক লাইভ করতে দেখা গেছে। ঘটনার পর একটি লাইভে কয়েকজন ছাত্রকে সেনাসদস্যদের প্রশ্ন করতে দেখা যায়, কেন তারা ছাত্রদেরকে মেরেছেন?
ফেসবুকে অপর এক পোস্টে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সেনা কর্মকর্তাদের একটি ছবি দেখা যায়, যেখানে বলা হয়েছে, ঘটনার জন্য সেনা কর্মকর্তা ক্ষমা চেয়েছেন এবং সেনা সদস্যদের বিচারের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।