ইউজিসি চেয়ারম্যানের অপসারণ-বিচার দাবি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৪ পিএম
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীরকে অপসারণ ও বিচার দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী প্রকৌশলী সমাজের নেতারা।
মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য দেন ইঞ্জিনিয়ার মোতাহার হোসেন।
এ সময় আলোচনায় অংশ নেন ইঞ্জিনিয়ার মো. সাব্বির মোস্তফা খান ও ইঞ্জিনিয়ার মো. আরিফুল হক প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘২০১৮ সাল থেকে অধ্যাপক আলমগীর সদস্য ও ২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি একজন স্বেচ্ছাচারী, দুর্নীতিবাজ, স্বৈরাচারের দোসর। তাকে ইউজিসির চেয়ারম্যানের দায়িত্বসহ সদস্য পদ থেকে অপসারণ এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাকে অপসারণ করা না হলে ছাত্র-জনতা সম্মিলিতভাবে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে। এক্ষেত্রে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার দায় দায়িত্ব কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে।’
এতে বলা হয়, ‘ইউজিসির সদস্য হিসেবেও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, নিয়োগ, পদোন্নতি, তদারকি, পরিদর্শন, তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা, পরীক্ষার ফলাফলের স্বচ্ছতা বিধান, সার্টিফিকেট ব্যবস্থাপনা, পরীক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ, উন্নয়ন প্রকল্পের তহবিল ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে অনিয়ম, অস্বচ্ছতা, পক্ষপাতিত্ব ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘অধ্যাপক আলমগীর ২০১০ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ২ মেয়াদে ৮ বছর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তার সময়ে কুয়েটের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। ক্যাম্পাসকে নোংরা রাজনীতি ও সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত করা হয়। তার দায়িত্ব পালনের শুরু থেকেই ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখার জন্য তিনি কুয়েটে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করেন এবং বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিতে থাকেন। তার পৃষ্ঠপোষকতায় ছাত্রলীগ কুয়েট ক্যাম্পাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘কুয়েটে কখনো মদ জুয়ার কথা চিন্তাই করা যেত না। কিন্তু আলমগীরের সময়ে এসব অনৈতিক কাজ চলতে থাকে। এমনকি অতিরিক্ত মদ্যপান করে ছাত্রলীগ সভাপতির মৃত্যুবরণের পর শিক্ষক ও সাধারণ ছাত্রদের বিরোধিতা সত্ত্বেও ওই ছাত্রের স্মৃতি রক্ষার্থে ক্যাম্পাসে নামফলক তৈরি করা হয়।’