Logo
Logo
×

বাজেট

জেন্ডার বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৪, ১০:২১ পিএম

জেন্ডার বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা

জেন্ডার বাজেটের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে উন্নয়ন এবং পরিচালন উভয় বাজেটে জেন্ডার সংশ্লিষ্ট বরাদ্দ বাড়ানোর প্রবণতা দেখা গেছে। নতুন অর্থবছরের পরিচালন বাজেটে এক লাখ ৬৫ হাজার ৪৮ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন বাজেটে এক লাখ ছয় হাজার ৭৭১ কোটি টাকাসহ সর্বমোট জেন্ডার সংশ্লিষ্ট বাজেটে বরাদ্দ ২ লাখ ৭১ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। যা মোট বাজেটের ৩৪.১১ শতাংশ। 

জিডিপির শতাংশেও জেন্ডারসংশ্লিষ্ট এই বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মোট বাজেটে জেন্ডার সম্পৃক্ত বরাদ্দের পরিমাণ ছিল দুই লাখ ৬১ হাজার ৭৮৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ গতবারের চেয়ে এবার ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ বেড়েছে। 

জেন্ডার বাজেটের গুরুত্ব বোঝাতে ‘সমতার পথে অগ্রযাত্রা’ শিরোনামে প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার নারীদের দক্ষ কর্মশক্তিতে রূপান্তরকে অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করেছে। শিক্ষার মান উন্নয়নের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়া শিশুর সংখ্যা বেড়েছে এক কোটি ৭০ লাখ, যাদের মধ্যে ৪৯ দশমিক ৪ শতাংশ কন্যাশিশু। এর কারণ হিসাবে উপবৃত্তি ও স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামকে উলে­খ করা হয়েছে। বর্তমানে এক কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। 

প্রতিবেদনে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধের গুরুত্বের কথা উল্লে­খ করে বলা হয়- বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০২৪ সালের মার্চ মাসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ১৫ বছরের কম বয়সি ৮ দশমিক ২ শতাংশ কিশোরীর বিয়ে হয়েছে। যা আগের বছরের ৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বেড়েছে। বাংলাদেশ কোন কোন জায়গায় সক্রিয় হলে এই সমস্যাটি মোকাবিলায় সক্ষম হবে, তার কর্মপরিকল্পনা উল্লে­খ আছে।

জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেটের যৌক্তিকতা তুলে ধরতে গিয়ে গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ ইনডেক্সের তথ্য উল্লে­খ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে উল্লে­খযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। তবে, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ এবং পুরুষের পাশাপাশি সবক্ষেত্রে সমান সুযোগ দেওয়ার জন্য অব্যাহতভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। নারীকে মূল কর্মশক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করা এবং পুরুষের তুলনায় নারীর আয়বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে গুরুত্ব আরোপ করার বিষয়টিও চলমান রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ও প্রথাগত প্রতিবন্ধকতা নারীদের উচ্চশিক্ষা অর্জনে বাধা সৃষ্টি করছে। এর মধ্যে রয়েছে বাল্যবিয়ে, অল্প বয়সে মাতৃত্ব, নিরাপত্তার অভাব, নারীর প্রতি সহিংসতা ইত্যাদি। উপবৃত্তি, বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, মিড ডে মিল প্রোগ্রাম ইত্যাদি প্রকল্প বাস্তবায়ন সত্ত্বেও প্রাথমিক শিক্ষায় ঝরে-পড়ার হার এখনো প্রায় ১৫ শতাংশ। বাল্যবিয়ে, জেন্ডারভিত্তিক শ্রম বিভাজন, অল্প বয়সে গর্ভধারণের উচ্চহার, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্যে প্রবেশগম্যতার অভাব, নারীর প্রতি সহিংসতা এবং সাম্প্রতিক সময়ে কোভিড-১৯ অতিমারির প্রভাবে নারী ও পুরুষের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া গণিত, প্রকৌশল এবং আইটির মতো বিষয়গুলোতে মেয়েদের সক্ষমতা নিয়ে সংশয়ের কারণে এসব ক্ষেত্রে তাদের পেশা গড়ার স্পৃহা কমে যাচ্ছে।

নারীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ পর্যন্ত ১৪,৮৭৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এসব ক্লিনিকের ৮০ শতাংশ সেবাপ্রার্থী নারী ও শিশু। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম