প্রস্তাবিত বাজেটে যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ কমেছে। দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, সরবরাহ ব্যবস্থা ইত্যাদির গুরুত্ব বিবেচনায় যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়ন বাবদ আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৮০ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে; যা গতবারের চেয়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা কম। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতে ৮৫ হাজার ১৯১ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন বক্তব্যে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এ বাজেট উপস্থাপন করা হয়।
এবারের বাজেটে উন্নয়ন বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮১ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা। উন্নয়ন বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ ধরা হয়েছে পরিবহণ ও যোগাযোগ খাতে। উন্নয়ন ব্যয়ের বরাদ্দ থেকে দেখা যায়, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ ৩২ হাজার ৪২ কোটি, রেলপথ মন্ত্রণালয় ১৩ হাজার ৭২৬ কোটি, নৌপরিবহণ ১০ হাজার ৩৭৩ কোটি, বেসামরিক বিমান পরিবহণ ৫ হাজার ৬৩২ কোটি এবং সেতু বিভাগ ৭ হাজার ৩০৯ কোটি টাকার উন্নয়ন বরাদ্দ পেয়েছে।
বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী গত কয়েক বছরে সরকারের যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, মহাসড়কের পরিমাণ প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৩২ হাজার ৬৭৮ কিলোমিটারে এবং গ্রামীণ সড়ক প্রায় ৭৬ গুণ বেড়ে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৬ কিলোমিটারে উন্নীত হয়েছে। নির্মিত হয়েছে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল ইত্যাদির মতো গর্ব করার অবকাঠামো। আধুনিক ও টেকসই মহাসড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য ইতোমধ্যে বিভিন্ন মহাসড়কে ১ হাজার ৪৩৯টি সেতু নির্মাণ/পুননির্মাণ করা হয়েছে এবং ৮৫১ দশমিক ৬২ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক প্রশস্ত করা হয়েছে।
সরকারের পরিকল্প তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ ১২টি এক্সপ্রেসওয়ে এবং ১০ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। রেল খাতের উন্নয়ন উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, মোট রেলপথ ২ হাজার ৩৫৬ কিলোমিটার থেকে দেড় গুণ বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার ৪৮৬ কিলোমিটার।
এর আগে দুপুরে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।