চিটাগং ভাইকিংসের দেয়া ১৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত শুরু করেছে ঢাকা ডায়নামাইটস। রীতিমতো তোপ দাগাচ্ছিলেছেন সুনিল নারাইন ও উপুল থারাঙ্গা। দুই ওপেনারের তাণ্ডবে ৪ ওভারেই ৪৪ রান তুলে ফেলেছিল রাজধানীর দলটি। তুলনামূলক বেশি আগ্রাসী ছিলেন নারাইন। অতিরিক্ত চড়াও হওয়ার খেসারত গুনে খালেদ আহমেদের বলে নাঈম হাসানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে মাত্র ১৬ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। শেষ খবর পর্যন্ত ৭ ওভার শেষে ৫৭ রান করেছে ঢাকা। থারাঙ্গা ২০ ও রনি তালুকদার ৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের এলিমিনেটরে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নেন চিটাগং অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ফলে আগে বোলিং শুরু করে সাকিব আল হাসানের ঢাকা ডায়নামাইটস। তবে শুরুতেই ধাক্কা খায় চিটাগং। রুবেল হোসেনের অসাধারণ রিভার্স সুইংয়ে খোঁচা দিয়ে উইকেটের পেছনে নুরুল হাসানের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরেন ইয়াসির আলি।
দ্বিতীয় উইকেটে সাদমান ইসলামকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট। দারুণ মেলবন্ধন গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। তবে হঠাৎই ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি। রানআউটে কাটা পড়েন দুর্দান্ত খেলতে থাকা ডেলপোর্ট। ফেরার আগে ২৭ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩৬ রানের ক্যামিও খেলেন তিনি। কাজী অনিক ও নুরুল হাসানের যৌথ প্রচেষ্টায় সাজঘরে ফেরেন এ ইনফর্ম ওপেনার।
পরে খেলা তৈরির চেষ্টা করেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। সুনিল নারাইনের বলে প্লেড-অন হয়ে ফেরেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। এতে পথ হারায় বন্দরনগরীর দল। ডেলপোর্টকে রানআউট করেছিলেন সাদমান। কিন্তু এর ঋণ শোধ করতে পারেননি তিনি। পরক্ষণেই শুভাগত হোমকে ক্যাচ প্র্যাকটিস করিয়ে নারাইনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন সাদমান। ড্রেসিংরুমের পথ ধরার আগে ১৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৪ রান করেন এ বাঁহাতি।
এরপর দাসুন শানাকাকে নিয়ে খেলা ধরার চেষ্টা করেন মোসাদ্দেক হোসেন। তবে তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার মতো সমর্থন জোগাতে পারেননি শানাকা। কাজী অনিকের বলে সোজা বোল্ড হয়ে তিনি ফিরলে বিপর্যয়ে পড়ে চট্টলার দলটি। এ পরিস্থিতিতে নিজের কারিশমা দেখাতে পারেননি চার ম্যাচ পর ইনজুরি থেকে ফেরা রবি ফ্রাইলিংক। নারাইনের বলে শুভাগত হোমকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। সেই রেশ না কা্টতেই এ মায়াবি স্পিনারের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন হারদুস ভিলজোন। এতে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ার শংকা দেখা দেয় চিটাগংয়ের।
তবে তা হতে দেননি মোসাদ্দেক। ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে বুক চিতিয়ে লড়াই করেন তিনি। ইনিংসের অন্তিমলগ্নে কাইরন পোলার্ড ও নুরুল হাসানের যৌথপ্রচেষ্টায় সাজঘরে ফেরার আগে ৩৫ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৪০ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। মূলত তার ব্যাটেই ৮ উইকেটে ১৩৫ রানের সম্মানজনক স্কোর পায় চিটাগং।
মুশফিক বাহিনীকে এত কম রানে বেঁধে রাখার জন্য কৃতিত্ব পাবেন ঢাকার সব বোলার। তবে বিশেষ করে পাবেন সুনিল নারাইন। ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচায় একাই ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ১টি করে উইকেট নিয়ে তাকে সমর্থন জোগান কাজী অনিক ও শুভাগত হোম।