Logo
Logo
×

সাহিত্য সাময়িকী

মেট্রোর গহিনে দস্তয়েভস্কির জগৎ

Icon

ড. যাকিয়া সুমি সেতু

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মেট্রোর গহিনে দস্তয়েভস্কির জগৎ

মস্কোর সাবওয়ে সিস্টেম, যা ‘আন্ডারগ্রাউন্ড আর্ট গ্যালারি’ নামে পরিচিত, তা বিশ্বের অন্যতম নান্দনিক ও উল্লেখযোগ্য ট্রানজিট ব্যবস্থা হিসাবে স্বীকৃত। এর একটি অংশে দস্তয়েভস্কায়া স্টেশনটি মস্কোর ভূগর্ভের প্রায় ৬০ মিটার (১৯৭ ফুট) গভীরে অবস্থিত। এটি মস্কো মেট্রোর লাইন ১০-এর একটি অংশ এবং মস্কোর অন্যতম গভীর সাবওয়ে স্টেশন হিসাবে পরিচিত। দস্তয়েভস্কায়া স্টেশনটির ডিজাইন করেছেন রাশিয়ান শিল্পী এবং স্থপতি ইভান নিকোলায়েভ।

তিনি এ স্টেশনটিকে বিশেষভাবে ফিওদর দস্তয়েভস্কির জীবন ও সাহিত্যের মূল ভাবনাগুলোর প্রতিফলন হিসাবে তৈরি করেছেন। স্টেশনটির দেওয়ালে দস্তয়েভস্কির বিশ্বখ্যাত উপন্যাসের দৃশ্যাবলী, যেমন ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট, দ্য ব্রাদার্স কারামাজভ এবং দ্য ইডিয়ট থেকে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ও নানা দৃশ্যের মূর্তি চিত্রিত হয়েছে। দস্তয়েভস্কায়া স্টেশনের ম্যুরালগুলোর স্রষ্টা, শিল্পী ইভান নিকোলায়েভ দস্তয়েভস্কির সাহিত্যের গভীরে প্রবেশ করে প্রতিটি দৃশ্যের মধ্যে দস্তয়েভস্কির জীবনের মর্মবাণী ও তত্ত্বকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।

তিনি এ প্রকল্পের জন্য লেখকের বইগুলোকে নতুন করে অধ্যয়ন করেন এবং দস্তয়েভস্কির শিল্পপাতার চরিত্রগুলোর অন্তর্নিহিত মনস্তত্ত্বের গভীরতম সংকটগুলো অনুসন্ধান করেন। নিকোলায়েভের ভাষায়, ‘My goal was to reveal the essence of Dostoevsky's work and the creative power embedded within it.’

মস্কো মেট্রোর ‘দস্তয়েভস্কায়া স্টেশনটি’ ২০১০ সালের ১৯ জুন উদ্বোধন করা হয়। মস্কোর তৎকালীন মেয়র ইউরি লুঝকভ এটি উদ্বোধন করেন। স্টেশনটির স্থাপত্য এবং অভ্যন্তরীণ নকশা পরিকল্পনা করেন প্রখ্যাত স্থপতি ইভান নিকোলায়েভ। তবে স্টেশনটির অভ্যন্তরীণ চিত্রকলা ও ভাস্কর্য তৈরিতে অবদান রেখেছেন শিল্পী দিমিত্রি ভেরখোভিনস্কি এবং সের্গেই গ্রিগরিয়ান। স্টেশনটির কাঠামো এবং নির্মাণ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন অভিজ্ঞ প্রকৌশলীরা। দস্তয়েভস্কায়া স্টেশনটি মস্কো মেট্রোর সের্পুখভস্কো-টিমিরিয়াজেভস্কায়া লাইনের অংশ এবং এটি প্রায় ৮৬ হাজার বর্গফুট এলাকাজুড়ে বিস্তৃত। স্টেশনটি মূলত আন্ডারগ্রাউন্ড প্ল্যাটফর্মের নকশা নিয়ে তৈরি, যা একটি একক স্তরের পাতাল স্টেশন হিসাবে নির্মিত হয়েছে এবং এর গভীরতা প্রায় ৬০ মিটার। দস্তয়েভস্কায়া স্টেশনের বেজমেন্টে গ্রানাইট এবং কালো ও ধূসর মার্বেল ব্যবহার করা হয়েছে। কালো মার্বেল দিয়ে প্ল্যাটফর্মের মেঝে এবং সাদা ও ধূসর মার্বেলের সমন্বয়ে পিলার ও দেওয়াল তৈরি করা হয়েছে, যা রাশিয়ার সাহিত্যিক পরিবেশকে আন্দোলিত করে। স্টেশনটির দেওয়ালের প্যানেলে মূলত ধূসর এবং কালো রঙের ব্যবহার দেখা যায়, যা দস্তয়েভস্কির সাহিত্যের গভীর এবং দার্শনিক থিমকে প্রতিফলিত করে। এ দেওয়ালগুলোতে গ্রানাইট এবং মার্বেলের পাশাপাশি কিছু ধাতব উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে, যা স্থায়িত্ব ও সৌন্দর্যকে একত্রিত করে। দেওয়ালে দস্তয়েভস্কির বিভিন্ন উপন্যাস থেকে অনুপ্রাণিত দৃশ্যাবলী খোদাই করা হয়েছে নিখুঁতভাবে। রাশিয়ান সরকার এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মিলে এটির জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল এবং অনুমোদন প্রদান করেন। পুরো স্টেশন নির্মাণে খরচ হয় প্রায় ১২০ মিলিয়ন রুবল।

স্টেশনটি অত্যন্ত নাটকীয় ও গভীর মনস্তাত্ত্বিক অভিজ্ঞতার রূপক। এখানে মেঝে ও দেওয়ালে গাঢ় সাদা-কালো রঙের ম্যুরাল এবং চিত্রাবলী এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যাত্রীরা দস্তয়েভস্কির জগতের অন্ধকার ও জটিল দিকের সঙ্গে সহজেই সংযোগ অনুভব করতে পারে। দস্তয়েভস্কির ভেতরের সংগ্রাম ও মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বগুলোকে তুলে ধরার জন্য এ স্টেশনের ভিজ্যুয়াল আর্ট ডিজাইনটি যেন পুরো স্টেশনজুড়েই একটি গাঢ় ও গভীর আবহের আবেশ। প্রত্যক্ষভাবে মস্কো মেট্রোর ভূগর্ভস্থ স্টেশনগুলোর মোজাইক, মূর্তি, ঝাড়বাতি এবং অলঙ্কৃত স্থাপত্যের এক বিস্ময়কর প্রদর্শনী রুশ ইতিহাস ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যকেই উদ্ভাসিত করে। পাশাপাশি এ শিল্পসম্ভার মূলত রুশ সাহিত্যের মহানায়ক এবং ঐতিহাসিক ঘটনার প্রতি সম্মান জানাতেই অভিনির্মিত। তবে সবচেয়ে আলোচিত এবং বিতর্কিত হলো দস্তয়েভস্কায়া স্টেশন, যা বিখ্যাত রুশ ঔপন্যাসিক ফিওদর দস্তয়েভস্কির স্মরণে সজ্জিত। এ প্রসঙ্গে রাশিয়ান চলচ্চিত্র পরিচালক আলেকজান্ডার সোকুরভ বলেন : ‘Dostoyevsky's works delve into the darkest depths of human nature. The murals at Dostoyevskaya station echo this profound sense of despair, but they also highlight the resilience of the human spirit.’

দস্তয়েভস্কায়া স্টেশনটি মস্কোর কেন্দ্রস্থল লুজনিকি এলাকার এমন একটি জায়গায় অভিনির্মিত, এর কাছেই মস্কোর বিখ্যাত কিছু স্থাপনা রয়েছে, যা পর্যটকদের আকর্ষণীয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রেড স্কোয়ার, এটি হলো রুশ ইতিহাসের কেন্দ্রস্থল। রয়েছে ক্রেমলিন, বলশয় থিয়েটার এবং গুম ডিপার্টমেন্টাল স্টোর-এগুলো পর্যটকদের জন্য মস্কোর আকর্ষণের অন্যতম বিষয়। পাশাপাশি, দস্তয়েভস্কির সাহিত্য অনুরাগীরা কাছাকাছি রুশ স্টেট লাইব্রেরি এবং পুশকিন মিউজিয়াম অব ফাইন আর্টসও ভ্রমণ করতে পারে, যা তাদের রুশ সাহিত্য ও শিল্পের সঙ্গে গভীরভাবে পরিচিত হতে সাহায্য করে। স্টেশনটির ডিজাইনার রুশ শিল্পী ইভান নিকোলায়েভ তার শিল্পীত সত্তায় দস্তয়েভস্কির বইগুলোর অন্ধকারময় ও গভীর দর্শনের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে এমন ম্যুরাল তৈরি করেছেন, যার মধ্যে দস্তয়েভস্কির দর্শন ও মানবমনের জটিল গ্রন্থগুলো উপস্থাপিত। দেওয়ালে দস্তয়েভস্কির বিভিন্ন উপন্যাস থেকে অনুপ্রাণিত দৃশ্যাবলী খোদাই করা হয়েছে। এগুলোতে যেমন Crime and Punishment-এর রোডিয়ন রাস্কোলনিকভের আত্মদ্বন্দ্ব ফুটে উঠেছে, তেমনি The Idiot এবং The Brothers Karamazov-এর অন্যান্য বিখ্যাত চরিত্রের চিত্রও রয়েছে। বিশেষ করে ‘ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট’ থেকে নেওয়া রাসকোলনিকভের খুনের দৃশ্য এবং দার্শনিক বিপন্নতার মুহূর্তগুলো ম্যুরালে এমনভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যা মনে হবে বাস্তবেই প্রত্যক্ষ করছি।

দস্তয়েভস্কায়া স্টেশনের নকশায়, দস্তয়েভস্কি’র সাহিত্যকর্মের বিভিন্ন দৃশ্য গভীর অনুশীলনে শিল্পিত হয়ে আছে। নিকোলায়েভের ম্যুরালগুলোর প্রতিটি স্ট্রোক যেন দস্তয়েভস্কির রক্ত-মাংসে গড়া চরিত্রগুলোরই কষ্ট, সংকট এবং চরম দ্বন্দ্বের জীবন্ত রূপ। রাসকোলনিকভের মানসিক যন্ত্রণা থেকে শুরু করে আলিওশার আত্মিক পথযাত্রা- প্রতিটি দৃশ্যে যেন দস্তয়েভস্কির মানব অস্তিত্বের অনুসন্ধান ফুটে ওঠেছে। স্থপতি তার চিত্রায়ণের মাধ্যমে দস্তয়েভস্কির রচনা থেকে এমন একটি অনুভূতির জন্ম দিয়েছেন, যা যাত্রীদের মনে, নৈতিকতা, আত্মার গভীরতার চিন্তাশীল প্রতিফলন ঘটায়। বিশেষ করে, ‘ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট’, ‘দ্য ব্রাদার্স কারামাজভ’ এবং ‘দ্য ইডিয়ট’-এর ভয়াবহ এবং অন্ধকারময় দৃশ্যগুলোর চিত্র যাত্রীদের তীব্র মানসিক জগতে প্রবেশ করায়। স্টেশনের দেওয়ালে রাসকোলনিকভের চরিত্রকে এমনভাবে চিত্রিত করা হয়েছে, তিনি একজন মহিলার দিকে কুঠার হাতে এগিয়ে আসছেন-এটি একেবারে সরাসরি এবং বাস্তবধর্মী। এ দৃশ্য অনেক দর্শকের মনে গভীর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং দস্তয়েভস্কির প্রশ্নবিদ্ধ নৈতিকতা এবং অন্তর্দ্বন্দ্বের প্রতিফলন ঘটায়। এ সম্পর্কে সাহিত্য সমালোচক জোসেফ ফ্রাঙ্ক মন্তব্য করেছেন : ‘Dostoyevsky's world is one of intense moral scrutiny and existential challenge, where each character's fate mirrors the universal struggle of the human soul.’

দস্তয়েভস্কায়া স্টেশনটির দেওয়ালে চিত্রিত এ অন্ধকারময় দৃশ্যাবলী নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ারও সৃষ্টি করে। অনেকেই এ দৃশ্যকে তাদের গভীরতর উপলব্ধির শিল্প আকাশ ভাবেন, আবার অনেকে এর মধ্যে অন্ধকারাচ্ছন্ন দুঃসহ জীবনের হতাশাও খুঁজে পান। এমনও অনেক সাধারণ যাত্রী রয়েছেন, যারা মনে করেন, এ ধরনের দৃশ্যাবলী তাদের দৈনন্দিন জীবনে অপ্রয়োজনীয় মন খারাপের কারণ। তারা মেট্রোতে তাদের পথচলাকে সহজ-সরল এবং নিরুত্তেজ রাখতে চান এবং দস্তয়েভস্কির মতো লেখকের গভীরতর বিশ্লেষণ ও সংকটের প্রভাবে ভারাক্রান্ত হতে চান না। তবে, দস্তয়েভস্কির এ চিত্রাবলী সাধারণ রুশ জনগণের মধ্যে মানব মনের গভীরতা এবং অস্তিত্বগত জিজ্ঞাসার প্রতি একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে, যা রাশিয়ার সাহিত্য এবং সংস্কৃতির অন্তর্গত অনন্য বৈশিষ্ট্য। নিকোলায়েভ মনে করেন, যাত্রীদের মনে দস্তয়েভস্কির লেখা, শিল্পসত্তা যেন সমগ্রতায় প্রতিধ্বনিত হয়, যেন লেখকের ভেতরের সব কথা, তারুণ্যের বিদ্রোহ, জীবনের নিরন্তর দ্বন্দ্ব এবং মুক্তির আকাঙ্ক্ষা কোনোভাবে মুছে না যায়। তিনি বলেন: ‘To depict Dostoevsky's narrative without compromise is my homage to his truth.’

মনোবিজ্ঞানী ও সামাজিক বিশ্লেষকদের মধ্যেও এ বিষয়ে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম হয়। কিছু মনোবিজ্ঞানী উদ্বেগ প্রকাশ করেন, দস্তয়েভস্কির গভীর এবং প্রায়ই হিংস্রতার দিকে ইঙ্গিতকারী সাহিত্যিক চিত্রাবলী মস্কোর ব্যস্ত সাবওয়েতে যাত্রা করা সাধারণ মানুষের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এ প্রসঙ্গে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট মিখাইল ভিনোগ্রাদভ মন্তব্য করেন: ‘These murals may cause depressive moods among passengers and could even encourage suicidal tendencies in those already predisposed to such thoughts.’

অন্যদিকে, কিছু বিশ্লেষক এবং রাশিয়ার সাহিত্যপ্রেমীরা মনে করেন, দস্তয়েভস্কির মতো একজন গভীর দার্শনিক এবং মনস্তাত্ত্বিক লেখকের কাজ মস্কোর মেট্রোতে স্থান পাওয়া অত্যন্ত প্রভাবশালী এবং ইতিবাচক একটি দিক। মনোবিজ্ঞানী নাটালিয়া সেমিওনোভা বলেন: ‘Dostoevsky's literature compels us to confront the hidden darkness within the human soul, pushing us to ponder over life's struggles and human suffering. Such art can be transformative, providing strength through understanding.’

প্রকৃত অর্থে দস্তয়েভস্কায়া স্টেশনটি মস্কোর মাটির নিচে এক অনন্য নন্দনতত্ত্বের উপস্থাপনা। এটি কেবল একটি মেট্রোস্টেশন নয়, বরং দস্তয়েভস্কির জগতের তলস্পর্শী প্রতিফলন-যেখানে তার সৃষ্ট চরিত্রগুলো আমাদের দৃষ্টিতে ভেসে ওঠে তাদের যন্ত্রণার গভীরতা ও মানবিক দুর্বলতার সংকট নিয়ে। স্টেশনের প্রতিটি ম্যুরাল যেন আমাদের মনে করিয়ে দেয়, দস্তয়েভস্কি মানুষকে শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্যে নয়, বরং আত্মার অন্ধকার ও আলোকে বুঝতে চেয়েছিলেন।

এ চিত্রমালা সেই অন্তর্লোকের আবেগঘন প্রতিচ্ছবি, যেখানে প্রতিটি চরিত্র তাদের অপরাধ, গ্লানি, শোক এবং মুক্তির এক নীরব অনুসন্ধানে চিরকাল নিমগ্ন। যদিও এ চিত্রমালাগুলোর অন্তর্নিহিত সহিংসতার কারণে কিছু বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, তবুও এ স্টেশনটি রাশিয়ান সাহিত্যের প্রতি এক গভীর শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন। এটি কেবল যাত্রীদের দৈনন্দিন যাত্রার অংশ নয়; বরং একটি শিল্পভূমি, যা তাদের কল্পনায় দস্তয়েভস্কির বিশ্বকে জীবন্ত করে তোলে।

ফিওদর দস্তয়েভস্কি’র নামে দস্তয়েভস্কায়া স্টেশনটি এভাবেই রাশিয়ান জনগণের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতি এক চিরন্তন শ্রদ্ধা সম্মাননার শিল্পভূমি হয়ে আছে। সাহিত্যের প্রতি তাদের এ ভালোবাসা-দার্শনিক অনুসন্ধানের অভিব্যক্তি হয়ে মস্কোর শিল্প আকাশে গভীর তাৎপর্য তৈরি করছে। আর এ ভিশন মেট্রোরেলের দেওয়ালে দস্তয়েভস্কির বিভিন্ন উপন্যাস থেকে খোদিত হয়ে, শিল্পের রং ছড়াচ্ছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে, যুগের পর যুগ রুশ সংস্কৃতিতে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম