-67c410b9a10cf.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
হবু চাচাশ্বশুর বাল ঠাকরে বাধা না দিলে এতদিনে রাজ ঠাকরের ঘরনি থাকতেন। সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি। তাই বলে নীরবে ভালোবাসতে পারবেন না—এমন কথা কোথায় লেখা আছে? কাউকে জানতে না দিয়ে গত ৩০ বছর ধরে এভাবেই দূর থেকে ভালোবেসে গেলেন বলিউড অভিনেত্রী সোনালি বেন্দ্রে! যদিও শেষরক্ষা হলো না।
সম্প্রতি তার চোখের ভাষা নাকি পড়ে ফেলেছেন ফটোসাংবাদিকরা। একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে প্রবল অধিকার বোধেই নাকি সোনালি কাছে ডেকে নিয়েছেন পুরোনো বন্ধুকে। অভিনেত্রীর চোখের ভাষা নিমেষে ক্যামেরাবন্দি করতে দেরিও করেননি ফটোসাংবাদিকরা। তার পরে সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দিতেই ভাইরাল!
বর্তমান মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা দলের নেতা রাজ ঠাকরে। ২০০৬ সালে শিবসেনা ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। জানা যায়, একসময় তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বলিউড অভিনেত্রীর। দিন দুয়েক আগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘মারাঠি ভাষা দিবস’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সোনালি। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন রাজও। সোনালি সেদিন সবুজ পোশাকে ঝকঝকে। মারাঠি সাজ মেনে খোঁপায় ফুল জড়ানো। রাজ বেছেছিলেন নীল পাঞ্জাবি। মঞ্চে ওঠার আমন্ত্রণ পেতেই এগিয়ে যান অভিনেত্রী। হঠাৎ পেছনে নজর তার। চোখের ইশারায় ডেকে নেন কাকে যেন! এর পরেই সোনালির সঙ্গে মঞ্চে উঠতে দেখা যায় রাজকে। পাশাপাশিই বসেন তারা। উভয়ের মুখে খুশির হাসি।
ঘটনা ১৯৯৪ সাল। সোনালি পা রেখেছেন বিনোদন জগতে। সেই সময় চার চোখ এক হয়েছিল। প্রেমে পড়েছিলেন রাজ-সোনালি। কিন্তু রাজের চাচা বাল ঠাকরে ভীষণ কড়া। তার কানে এ সম্পর্কের খবর পৌঁছাতেই ভাইপোকে রীতিমতো শাসিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন এতে রাজনীতিতে প্রভাব পড়বে। পারিবারিক সমস্যা তৈরি হবে। সব মিলিয়ে রাজ অসম্মানিত হবেন। চাচার দাপটের কাছে সেদিন হার মেনেছিলেন রাজ। দূরে সরিয়ে দিয়েছিলেন সোনালিকে। বিয়ে করেন শর্মিলা ঠাকরেকে। এতকিছুর পরও কি পরস্পরকে ভুলতে পারেননি তারা? অন্তত তেমনই সাক্ষ্য দিল ‘মারাঠি ভাষা দিবস’।