সাইফ-কারিনার শিশুকে নিয়ে যে পরিকল্পনা ছিল হামলাকারী শরিফুলের
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম
ফাইল ছবি
বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান ও অভিনেত্রী কারিনা কাপুর দম্পতির চার বছরের শিশুসন্তান জেহকেই অপহরণের মূল উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন দুষ্কৃতকারী শরিফুল। বান্দ্রার বাড়িতে প্রবেশ করেই প্রথমে তিনি এগিয়ে গিয়েছিলেন সাইফ-কারিনার কনিষ্ঠ পুত্র জেহর ঘরের দিকে। অপহরণের মূল নিশানায় ছিল চার বছরের শিশু জেহই। পুলিশি জেরায় দোষ স্বীকার করে যা বললেন অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম।
মুম্বাই পুলিশের জেরায় উঠে এসেছে— জেহকে অপহরণ করে মুক্তিপণ হিসেবে এক কোটি টাকা দাবি করার পরিকল্পনা ছিল শরিফুলের। সেই পরিকল্পনামাফিক শরিফুল চুপিসারে জেহর ঘরের দিকে এগিয়েছিলেন। প্রথমে বিষয়টি নজরে এসেছিল জেহর ন্যানির। তিনি জেহকে বাঁচাতে উদ্যত হন। যদিও তাকে শরিফুল দেখতে পেয়ে যান তখনই। সরাসরি ন্যানি প্রশ্ন করেছিলেন— কী চান। উত্তরে এক কোটি টাকার কথা বলেছিলেন শরিফুল। এই ফাঁকে সেই ঘর থেকে কাঁদতে কাঁদতে দৌড়ে পালিয়েছিল জেহ। সেই কান্না শুনে ছুটে এসেছিলেন সাইফ আলি খান।
অভিনেতা বাধা দিতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে শরিফুল ঝাঁপিয়ে পড়েন তার ওপর। তার পরেই সাইফকে ছয়বার ছুরিকাঘাত করেন তিনি। ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় লীলাবতী হাসপাতালে পৌঁছান অভিনেতা।
১৯ জানুয়ারি শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে গ্রেফতার করে মুম্বাই পুলিশ। জেরার মুখে শরিফুল বলেন, হ্যাঁ আমিই করেছি। পুলিশি জেরায় উঠে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। জানা গেছে, আটক শরিফুল আসলে বাংলাদেশের জাতীয় স্তরের কুস্তিগির। অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। গত পাঁচ মাস ধরে তিনি মুম্বাইবাসী। মুম্বাইয়ের দুই রেস্তোরাঁ ও হোটেলে শরিফুলের কাজ করার কথাও জানতে পেরেছে পুলিশ। ওরলি এলাকার রেস্তোরাঁয় চুরির অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। সে কারণে তার চাকরিও গিয়েছিল গত আগস্টে।
উল্লেখ্য, অভিনেতা নবাব সাইফ আলি খান গত বুধবার গভীর রাতে নিজ বাড়িতে দুষ্কৃতকারীর হাতে আক্রান্ত হওয়ার পর এখন মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে শয্যাশায়ী। তাকে অস্ত্রোপচার করানো হয়েছে। সফল অস্ত্রোপচারের পর তাকে আইসিইউ থেকে জেনারেল বেডে নেওয়া হয়েছে। তবে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও মেরুদণ্ডের আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে ক্ষত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এ মুহূর্তে তাই লীলাবতী হাসপাতালেই চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে অভিনেতাকে।