Logo
Logo
×

বলিউড

সাইফের ওপর আক্রমণের ঘটনায় যে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না

Icon

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৭ এএম

সাইফের ওপর আক্রমণের ঘটনায় যে প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না

ফাইল ছবি

প্রাথমিক তদন্তের পর মুম্বাই পুলিশ দাবি করেছিল, নিতান্তই চুরির উদ্দেশ্য নিয়েই এক বা একাধিক দুষ্কৃতকারী ঢুকেছিল অভিনেতার বাড়িতে। এর সঙ্গে কোনো বড় গ্যাংয়ের যোগসূত্র নেই। তবে এ মুহূর্তে শরীরে ছয়টি ছুরির আঘাত নিয়ে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান। আপাতত নিরাপদে আছেন তিনি। এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে যে কথা বলেছেন সাইফপত্নী অভিনেত্রী কারিনা কাপুর। 

ঘটনার পর থেকেই সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে নানা ধরনের খবর। দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে যে ঘরে ছিলেন তারকা দম্পতি, সেখানে আক্রমণ হওয়ায় সারা দেশের নজর ছিল তাদের দিকে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কারিনা একটি পোস্ট করে জানান— কেউ যেন কোনো মনগড়া কাহিনি না লেখেন বা ছড়ান। তাদের ব্যক্তিগত পরিসরে যেন অযাচিত প্রবেশ না করেন কেউ। কারণ তারা বিধ্বস্ত।

শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েও আবারও প্রায় একইভাবে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে কারিনা বলেছেন— তাদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা যাতে রক্ষা করা যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছিল সে রাতে, তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা রয়েছে। এমনকি ঘটনার দুদিন পরও মুম্বাই পুলিশ নাগাল পায়নি দুষ্কৃতকারীর। অথচ বৃহস্পতিবার সকালেই সাইফের বাড়ির কাছে দেখা গিয়েছিল এনকাউন্টার বিশেষজ্ঞ দয়া নায়েককে। জানানো হয়েছে মোট ত্রিশটি দল আক্রমণকারীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।

এরই মধ্যে উঠতে শুরু করেছে আরও নানা রকমের প্রশ্ন। পুলিশ কর্মীদের কেউ কেউ ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, কেন সাইফ-কারিনার মতো তারকার বাড়ির প্রবেশ পথে কোনো সিসি ক্যামেরা নেই!

এরই পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে— সাইফের অটোরিকশায় হাসপাতাল যাওয়া নিয়ে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বারবার বলা হয়েছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে— প্রায় পিঠ টান টান করেই রক্তাক্ত সাইফ প্রবেশ করেছিলেন হাসপাতালে। স্ট্রেচার বা হুইলচেয়ারে নয়, হেঁটেই ঢুকেছিলেন তিনি। হাতে ধরা আট বছরের ছেলে তৈমুরের হাত। সঙ্গে ছিলেন তার এক কর্মী। 

এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে—

১. সত্যিই যদি সাইফ জখম অবস্থাতেও এতখানি শক্ত থেকে থাকেন, তা হলে কেন নিজেই গাড়ি চালাতে পারলেন না? সাধারণত সাইফকে গাড়ি চালাতে দেখা যায়। বাড়ি থেকে লীলাবতী হাসপাতালের দূরত্ব মাত্র দুই কিলোমিটার।

২. কেন তৈমুরের মতো আট বছরের এক বালককে যেতে হলো হাসপাতালে? আর কেউ কি ছিল না অত বড় বাড়িতে?

৩. সেই সময় বাড়িতে কারিনা যদি থেকে থাকেন, তা হলে কেন তিনি তৈমুরকে বাড়ি থেকে বেরোতে দিলেন? যে সময় দুষ্কৃতকারী পালিয়ে যায়, সেই সময় তো নিশ্চিত করা যায়নি বাইরে তার কোনো দলবল রয়েছে কিনা!

৪. জানা গেছে, ঘটনার পরই কারিনা ও জেহকে নিজের বাড়ি নিয়ে চলে গিয়েছিলেন কারিশমা কাপুর। সেই সময় তৈমুর কোথায় ছিল?

উল্লেখ্য, অভিনেতা নবাব সাইফ আলি খান গত বুধবার গভীর রাতে নিজ বাড়িতে দুষ্কৃতকারীর হাতে আক্রান্ত হওয়ার পর এখন মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে শয্যাশায়ী। তাকে অস্ত্রোপচার করানো হয়েছে। সফল অস্ত্রোপচারের পর তাকে আইসিইউ থেকে জেনারেল বেডে নেওয়া হয়েছে। তবে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও মেরুদণ্ডের আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে ক্ষত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এ মুহূর্তে তাই লীলাবতী হাসপাতালেই চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে অভিনেতাকে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম