একসময় বলিউড অভিনেতা অভিষেক বচ্চন ও অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের প্রেমের চর্চা ছিল বিনোদন দুনিয়ায়। দীর্ঘ দিনের গভীর প্রেম শেষ পর্যন্ত পরিণতি পায় বাগদানের মধ্য দিয়ে। আর বাগদান হওয়ার পর খুশিতে আত্মহারা ছিলেন অভিনেত্রী কারিশমা কাপুর। এমনকি নিজের আনন্দের কথা সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
কিন্তু দুই পরিবারের মধ্যে কথাবার্তা পাকা হওয়ার পরও অভিষেকের মন বদলে যায়। এর পর ভেঙে যায় দুই তারকার সম্পর্ক।
অমিতাভ বচ্চনের জন্মদিনে বাগদান সেরেছিলেন অভিষেক বচ্চন ও কারিশমা কাপুর। তার ঠিক এক মাস পরেই ভেঙে যায় তাদের সম্পর্ক। কেন সম্পর্ক ভেঙেছিল তা এখনো জানা যায়নি, তা নিয়ে এখনো নেটিজেনদের মাঝে সমালোচনার গুঞ্জন শোনা যায়।
অবশেষে জয়া বচ্চন নিজেই বিচ্ছেদের কারণ স্পষ্ট করেছিলেন—বাগদানে খুশি ছিলেন কারিশমা। তাই নিজের আনন্দের কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু অভিষেকের মন বদলে যায়। অভিনেতাই এই সম্পর্ক ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তার এ সিদ্ধান্তে নাক গলায়নি পরিবার, জানিয়েছিলেন জয়া।
কেন সম্পর্ক ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন অভিষেক? ‘হ্যাঁ ম্যায়নে ভি পেয়ার কিয়া হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ের সময় অভিষেক ও কারিশমাকে খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন প্রযোজক সুনীল দর্শন। প্রযোজক এই সাবেক জুটির বাগদানে উপস্থিত ছিলেন ঠিকই, কিন্তু অভিষেক ও কারিশমা কখনই পরস্পরের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করেননি। ছবির সেটে প্রায়ই দুজনকে ঝগড়া করতে দেখতেন সুনীল দর্শন।
সংবাদমাধ্যমের কাছে প্রযোজক বলেন, মানুষ হিসাবে দুজনেই ভালো। কিন্তু তারা পরস্পরের সঙ্গে থাকার জন্য উপযুক্ত নন। বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক লেগেই থাকত।
তবে আরও একটি গুঞ্জনও শোনা যায়, অভিষেক ও কারিশমার সম্পর্কে নাকি অভিনেত্রীর মা অর্থাৎ ববিতা বেশ কিছু বিষয়ে নাক গলাতেন। ক্রমে সাবেক জুটির সম্পর্ক নাকি তিক্ত হতে থাকে। সেই সময় বচ্চন পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। তাই কারিশমাকে নিয়ে নাকি চিন্তায় পড়েছিলেন ববিতা। তবে দুজনের কেউ কখনো মুখ খোলেননি এ বিষয়ে।