আরজি কর মামলার দ্বিতীয় শুনানি ছিল সোমবার। যদিও যে রায়ের পক্ষে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ, তার জন্য হয়তো আরও একটু অপেক্ষা করতে হবে দেশবাসীকে। পরবর্তী শুনানির তারিখ ১৭ সেপ্টেম্বর। আরজি করের নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে তারকা সকলেই।
সম্প্রতি বাইপাসের ধারে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। এ ঘটনায় মর্মাহত, তাই বাড়িতে চুপ করে বসে থাকতে পারেননি বলেই জানিয়েছিলেন শ্রাবন্তী। এ বার কলকাতা ছাড়লেন অভিনেত্রী, ন্যায়বিচার ও শান্তির আশায়। সমাজমাধ্যমে সেই ছবি ভাগ করে নিতেই অভিমানের সুর নুসরতের কণ্ঠে।
আরজি কর-কাণ্ডের এক মাস পার। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার বক্তব্যে জনসাধারণকে উৎসবে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন। ১৪ আগস্ট থেকে লাগাতার প্রতিবাদ। কলকাতা এখন মিছিল নগরী। রাত দখলের কর্মসূচিতে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ থেকে খ্যাতনামীরা। সোমবার শীর্ষ আদালতে যখন শুনানি চলছে, সেই সময় বান্ধবী তনুশ্রী চক্রবর্তীকে নিয়ে আজমির শরিফ পৌঁছে গেলেন শ্রাবন্তী। আজমির শরিফের দরগায় ঢোকার আগে দুজনের একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘শান্তি ফিরুক। ন্যায়বিচারের জন্য প্রার্থনা করলাম।’
দুই নায়িকার পরনে চুড়িদার। মাথা ঢাকা ওড়নায়। প্রার্থনা করে সুতো বাঁধলেন দরগায়। তাদের ভ্রমণের ছবি দেখে আরেক বান্ধবীর অভিমান। তিনি নুসরত জাহান। যশের সঙ্গে সম্পর্কের শুরু হোক কিংবা সন্তানের জন্ম, আজমির শরিফের দরগায় প্রার্থনা করতে যান নুসরত। দুই প্রিয় বান্ধবী তাকে ছাড়া চলে যেতেই নুসরত লেখেন, ‘আমাকে ছাড়া? বাবা তোমাদের আশীর্বাদ করুন।’