বলিউড অভিনেতা রণবীর কাপুর ও অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের সন্তান ঘরে আসার পর তাদের জীবন যেন আলোকিত করে তুলেছে। জন্মের পর থেকেই খ্যাতির স্বাদ পেয়ে গেছে এ দম্পতির মেয়ে রাহা কাপুর। সেই একরত্তি একবার মুচকি হাসলে বা ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালেই ফটোসাংবাদিকরা ক্যামেরাবন্দি করে ফেলেন তাকে। মুহূর্তে রাহার সেই ছবি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিকমাধ্যমে। বাড়িতেও সবার আদরের আলিয়াকন্যা। দাদু মহেশ ভাট রাহার কিশোরী হওয়ার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন।
দাদু মহেশ ভাটেরও নয়নের মণি রাহা। এমনকি রাহা একটু বড় হলে তাকে প্রথম কোন ছবি দেখাবেন, তাও ঠিক করে ফেলেছেন এ পরিচালক। রাহা যখন ১৬ বছরের কিশোরী হয়ে উঠবে, তখন তাকে নিজের পরিচালিত কোন ছবি দেখাবেন, তা আনন্দবাজারের এক সাক্ষাৎকারে সে কথাই জানালেন মহেশ ভাট।
তিনি বলেন, রণবীর ও আলিয়ার সন্তান সংসারে আসার পর তার জীবনেও নানা পরিবর্তন এসেছে। এক অন্য দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দুনিয়া দেখতে শুরু করেছেন তিনি। এ পরিচালক বলেন, দাদু না হলে এই নতুন দৃষ্টিভঙ্গি খুঁজেই পেতেন না তিনি।
মহেশ ভাট বলেন, মানুষের নানা ঘটনা এখন একটু অন্য ভাবে দেখি। বিশেষ করে দাদু হওয়ার পর এটি হয়েছে। আমি এখনো আলিয়ার সাফল্যের আনন্দের ঘোর কাটিয়ে উঠতে পারিনি । আর এর মধ্যেই ওর মাতৃত্ব দেখেছি। তিনি বলেন, আলিয়া শুধু ভালো অভিনেত্রী নন, ও মা হিসাবেও অসাধারণ। আর রাহাকে যেন ঈশ্বর আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন। শিশুদের মধ্যে এক অদ্ভুত ক্ষমতা থাকে।
মহেশ ভাট বলেন, আমি চাই, রাহা আমার পরিচালিত ছবিগুলোর মধ্যে আগে ‘দিল হ্যায় কে মানতা নেহি’ দেখুক। ওর যখন বয়স ১৬ বা তার কাছাকাছি হবে, এ ছবিটা দেখাব ওকে।
মহেশ ভাটের বড় মেয়ে পূজা ভাট ও আমির খান ১৯৯১ সালে ‘দিল হ্যায় কে মানতা নেহি’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। বলিউডের জনপ্রিয় সিনেমাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
পরিচালক বলেন, এ ছবি আমার মনের খুব কাছের। পূজা ও আমির দুজনেই অসাধারণ অভিনয় করেছেন এ ছবিতে। মানুষের মন প্রতিফলিত হয়েছিল এই ছবিতে। তাই আমার মনে হয়, এই ছবিটাই আমি রাহাকে দেখানো উচিত।
আরও একটি ছবি ‘হম হ্যায় রাহি পেয়ার কে’র কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হলে মহেশ ভাট বলেন, এই ছবিটিও তিনি রাহাকে দেখাতে চান। কারণ এখানেও সুন্দর একটি প্রেমের গল্প বলা হয়েছে।