নেহা ধুপিয়া, বলিউডে একটা সময় চুটিয়ে কাজ করেছেন। তবে এখন আর সেভাবে অভিনয় জগতে তার দেখে মেলে না। তবে নেহার চ্যাট শো দর্শকমহলে দারুণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। দুই সন্তানের মা নেহা ধুপিয়া এ মুহূর্তে ফের লাইমলাইটে। তবে নতুন সিনেমা বা শোয়ের জন্য নয়। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণে চর্চায় রয়েছেন নেহা ধুপিয়া। দুই সন্তানের জন্মের পর হু হু করে ওজন বেড়েছিল নেহার। বিশেষ করে দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর মোটা হওয়ার প্রবণতা যেন আরও বেড়ে যায়।
নেহা ধুপিয়া বলেন, ‘মেহেরের (তার মেয়ে) জন্মের পর আমরা লকডাউনে চলে গিয়েছিলাম। তাই সেইসময় আমি ডায়েট করে বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলেছিলাম। তারপর আমি পুনরায় অন্তঃসত্ত্বা হই।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা পাগল করা একটা চার বছর ছিল। যখন আমি ওজন কমিয়েছি। আবার ওজন বেড়েছে। তবে প্রসবোত্তর সময়ে ওজন বাড়লে কেমন দেখতে হব, তা নিয়ে আমি একেবারেই চিন্তিত ছিলাম না।’
নেহা আরও বললেন, ‘আমার দুই সন্তানই প্রায় এক বছর স্তন পান করেছে। যার ফলে আমার খুব খিদে পেত। এনার্জিও ডাউন থাকত। ওই সময় আলাদাভাবে শরীরচর্চা করা আমার পক্ষে সম্ভব হত না। এক বছর আগে পুরোপুরিভাবে ডায়েট ও শরীরচর্চায় মন দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভবপর ছিল না। তবে এরপর আমি ২৩ কেজি ওজন ঝরিয়েছি। যদিও আমি যে ওজনে পৌঁছব ঠিক করেছি বা যে শরীরের যে মাপে, তাতে পৌঁছতে পারিনি এখনও। কিন্তু আমার বিশ্বাস, অদূর ভবিষ্যতে সেখানে সেটাও হয়ে যাবে।’
তা কীভাবে ওজন কমালেন নেহা? অভিনেত্রী জানালেন, ‘আমি খুব বেশি ক্যালোরির ঘাটতি তৈরি করি না। কারণ একজন ওয়ার্কিং মা হিসেবে আমার সবসময় এনার্জির প্রয়োজন পড়ে। তবে আমি দৌড়নো উপভোগ করি। মাঝে মাঝে জিমে যাই। চিনি, ভাজা খাবার, গ্লুটেন বাদ দিয়েছি। সুষম খাদ্য খাই। আলাদাভাবে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করিনি। আমার জীবনযাত্রার কারণেই এটা হয়েছে। সন্ধ্যা ৭টায় আমি বাচ্চাদের সঙ্গে ডিনার করে নেই। এরপর সকাল ১১টায় ফের আমার স্বামী অঙ্গদের সঙ্গে হাঁটি করি’।
নেহা জানালেন, ওজন কমানোর পর তার আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে। এমনিতেও ক্যামেরার সামনে আসতে, ফিট থাকা প্রয়োজন। ওজন কমানোর পর আরও বেশি করে কাজের অফারও পাচ্ছেন।