ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধন করেছেন। সোমবার দুপুরে সেই মন্দিরের উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় মন্দিরের প্রধান কক্ষে রামের মূর্তির চোখের বাঁধন খুলে দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে বিগ্রহের ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’ সম্পন্ন হয় বলে মনে করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। খবর হিন্দুস্তান টাইমস ও পিঙ্কভিলার।
প্রায় ১৮০০ কোটি টাকার বেশি খরচ করে ভারতের উত্তর প্রদেশের অযোধ্যায় তৈরি করা হয়েছে রামচন্দ্রের মন্দির। মন্দির নির্মাণে অনেকেই অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। যে তালিকায় রয়েছেন শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও।
খবরে বলা হয়েছে, প্রায় আট হাজার মানুষের উপস্থিতিতে এ মন্দিরের উদ্বোধন করা হয়েছে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের সরকারি দলের বিভিন্ন রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে বলিউড অভিনেতা-অভিনেত্রী ও ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা।
রামমন্দির নির্মাণের জন্য অর্থ দিয়েছেন বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে এক টুইটে এ তথ্য জানান তিনি। অক্ষয় লিখেন, ‘এটি খুবই আনন্দের খবর যে, অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এখন আমাদের অংশগ্রহণ করার সময়। আমি অংশ নিয়েছি। আশা করছি, আপনিও আমাদের সঙ্গে যোগ দেবেন।’ তবে মন্দির নির্মাণের জন্য কত টাকা দিয়েছেন, তা প্রকাশ করেননি অক্ষয়।
রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় রয়েছেন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা পবন কল্যাণ। তিনি মন্দিরটি নির্মাণের জন্য ৩০ লাখ রুপি অনুদান দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
অভিনেতা মুকেশ খান্না জানান, মন্দির নির্মাণের জন্য ১ লাখ ১১ হাজার ১১১ রুপির একটি চেক হস্তান্তর করেন।
রামমন্দির নির্মাণের জন্য অনুপম খেরও অর্থ দিয়েছেন। ২০২৩ সালের ২ অক্টোবর ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। তাতে রামমন্দির নির্মাণের দৃশ্য দেখা যায়। এর ক্যাপশনে তিনি লিখেন, ‘অযোধ্যায় তৈরি হওয়া ঐতিহাসিক রাম মন্দির নির্মাণের ঝলক দেখতে পাচ্ছি। রামমন্দির নির্মাণে প্রতিটি ভক্ত মগ্ন। আমি খুবই ভাগ্যবান যে, আমার অনুরোধে মন্দিরের পক্ষ থেকে একটি ইট উপহার পেয়েছি। আমি আশীর্বাদপুষ্ট।’ অনুপমও প্রকাশ করেননি ঠিক কত টাকা দান করেছেন তিনি।
বলিউডের বরেণ্য অভিনেত্রী হেমা মালিনি মোটা অঙ্কের অর্থ দান করেছেন।
২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রণীতা সুভাষ টুইটারে একটি ভিডিও প্রকাশ করে রাম মন্দিরের জন্য অর্থ দানের কথা জানান। এই অভিনেত্রী বলেন, ‘অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের অভিযাত্রায় ১ লাখ রুপি দিয়ে আমার ছোট্ট অংশগ্রহণ। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, ঐতিহাসিক এ মুভমেন্টে যুক্ত হওয়ার।’