তিন বছর আগে আত্মহত্যা করেছেন অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। রিয়া চক্রবর্তী ছিলেন সুশান্তের বান্ধবী। সুশান্তের আত্মহত্যার পর অনেক গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল রিয়ার বিরুদ্ধে। তাকে তদন্তের মুখোমুখি হতে হয়েছে, জেলে থাকতে হয়েছে।
প্রায় দুমাস জেলবন্দি ছিলেন রিয়া। মুম্বাইয়ের বাইকুল্লা জেলে বহু দিন থাকার পর জামিনে মুক্ত হন রিয়া। এরপর প্রায় আড়াই বছর ছিলেন লোকচক্ষুর আড়ালে।
একটা সময় রিয়াকে ‘ডাইনি’ অপবাদও দেওয়া হয়। তিনিই সুশান্তকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে সেই কঠিন দিনগুলো পার করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন অভিনেত্রী। অল্প অল্প করে কাজ শুরু করেছেন।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিয়েছেন রিয়া। সেই সাক্ষাতকারের একটি অংশ নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করে রিয়াকে ‘হিরো’র তকমা দেন সামান্থা রুথ প্রভু।
সাক্ষাতকারে রিয়া ঘোষণা করেন, তিনি পিতৃতান্ত্রিক সমাজের নিয়ম মানতে নারাজ। সুশান্ত মামলায় যখন অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং হাজতবাস করতে হয়, সেই সময় পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ওপরই আঙুল তুলেছিলেন রিয়া। অভিনেত্রী বলেন, ‘একটা সময় ছিল যেখানেই যেতাম, মনে হতো লোকে যেন আমাকে করুণা করছে। যখন নতুন লোকেদের সঙ্গে কথা বলি, মনে হয় যেন তাদের মনের কথা শুনতে পাচ্ছি। মাঝে মধ্যে লোকজন আমার দিকে তাকায়, ভাবে আমিই অপরাধী।’ সেই সময় রিয়ার পাশে বটগাছ হয়ে দাঁড়িয়েছিল তার পরিবার। মা-বাবা ও ভাই।
রিয়া জানান, বাবা ভারতীয় সেনায় চাকরি করতেন সেই কারণে মনের জোরও বেশি তার। শুধু বাবা-মা নয়, কিছু হাতেগোনা বন্ধুও ছিল যারা সর্বক্ষণ তার পাশে ছিলেন। যাদের মধ্যে অন্যতম ফারহান আখতারের স্ত্রী শিবানি দান্ডেকর। রিয়া বারবার জানিয়েছেন, সমাজের চোখ রাঙানিতে তিনি হার মানেননি। তার এ ভাবনাকেই এবার কুর্নিশ জানালেন সামান্থা।