ফ্যাসিবাদ হাসিনা ও তার দোসরেরা দেশের সাধারণ মানুষের গলা টিপে ধরে মানুষের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। আর আমরা মানুষের কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে দিতে দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। 

শনিবার রাজধানীর ডেমরায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ অন্তর্ভুক্ত ডেমরা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী।

সন্ধ্যার আগে ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার জামে মসজিদের সামনে এ কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হয়। ইয়াহ ইয়া বিন আশরাফের সঞ্চালনায় ও ডেমরা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনিরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান।

এদিন থানার বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে বাহারি রংয়ের টিশার্ট ও ক্যাপ পরে বাদ্যযন্ত্র নিয়ে আনন্দ উল্লাসে সভাস্থলে উপস্থিত হন দলের নেতাকর্মীরা। এ সময় এক উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়।

এসএম জিলানী বলেন, গত ১৭ বছর এই ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের গলা টিপে ধরে রেখেছিল। তারা মানুষের কণ্ঠরোধ করে একদলীয় শাসন কায়েম রেখেছিল। দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে যে গণতন্ত্র পেয়েছিলাম আমরা সে গণতন্ত্র এখন কায়েম করতে চাই। যেখানে দেশের সব মানুষের কথা বলার অথিকার থাকবে। মানুষ স্বাধীনভাবে মন খুলে কথা বলতে পারবে। আমরা বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে দীর্ঘ ১৭ বছর লড়াই-সংগ্রাম করেছি।

তিনি বলেন, ডেমরা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা নিজের জীবন বাজি রেখে দীর্ঘ ১৭টি বছর হায়েনা হাসিনা সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রতিবাদ জানিয়ে গেছে এবং গত জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় প্রতিটি দিন প্রতিটিক্ষণ অতন্দ্রপ্রহরীর মতো রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে শুরু করে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড পর্যন্ত কেন্দ্রের নির্দেশে হাসিনার পতন ত্বরান্বিত করেছে।

উপস্থিত বিভিন্ন ওয়ার্ডের বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা ঘরে থাকতে পারি নাই। এমনকি আমাদের এলাকায় থাকতে পারি নাই। বিভিন্ন মামলা-হামলা দেওয়ার পরেও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামানের নেতৃ্ত্বে ডেমরা থানা স্বেচ্ছাসেবক দল সাংগঠনিকভাবে আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন- স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এএ জহির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সাদ মোর্শেদ পাপ্পা সিকদার, আব্দুল্লাহ আল মামুন, দেলোয়ার হোসেন রিন্টু, মো.সাইফুল ইসলাম পলাশ, মুনির হোসেন মৃধা, হাসান আলী। 

এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- ডেমরা থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক ও সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ মিয়া, মিলন খন্দকার, লিটন মেম্বার, রানা, রিয়াজ হোসেনসহ স্থানীয় অন্যান্য নেতারা।