বিএনপির সঙ্গে ডেরেক লো’র বৈঠক
‘নির্বাচিত সরকার ছাড়া অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এগিয়ে নেওয়া সম্ভব না’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৫ পিএম
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকার নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের অনাবাসিক হাইকমিশনার ডেরেক লো।
রোববার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক হয়। এতে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করা হয়।
তারা বলেন, দু’দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নির্বাচিত সরকার সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে। নির্বাচিত সরকার ছাড়া অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এগিয়ে নেওয়া সম্ভব না।
বৈঠককালে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ। হাইকমিশনের চ্যার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মিচেল লো, সিঙ্গাপুর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেস্ক অফিসার রাহুল আব্রাহাম।
বৈঠক শেষে আমির খসরু বলেন, ‘দক্ষ শ্রমশক্তি কীভাবে আমরা সেখানে (সিঙ্গাপুরে) পাঠাতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যেমন- সিঙ্গাপুরে প্রচুর নার্স দরকার, অন্যান্য ক্ষেত্রে দক্ষ শ্রমিক নিতে তাদের উৎসাহ আছে। আমাদের শ্রমশক্তিকে আরও দক্ষ করার জন্য সিঙ্গাপুর বিভিন্ন ইনস্টিটিউশনের মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে চায়, টেকনিক্যাল সহযোগিতা দিতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে বন্দর ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত দক্ষ। তারা আমাদের দেশের বন্দরগুলো কার্যকর করতে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জাহাজ নির্মাণ শিল্পেও সিঙ্গাপুর সহযোগিতা করতে চায়। এনার্জি ও ফাইনান্সিয়াল সেক্টারেও তারা কাজ করার কথাও বলেছে।’
এদিকে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু মাহদুদ চৌধুরী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয়ও আওয়ামী লীগের ফিরে আসার চেষ্টায় প্রভাব ফেলছে।
আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে কেন ট্রাম্পের বেশে আসতে হবে? কেন তারা রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে এই অবস্থায় পৌঁছাল? আমরা আবারও বলছি তারা এখন দেউলিয়া হয়ে বিভিন্ন মোড়কে আসার চেষ্টা করছে। তাদের (আওয়ামী লীগ) তো নিজের বেশেই ফিরে আসতে হবে। কিন্তু তাদের সে সাহস নাই। সেই সাহস তারা হারিয়ে ফেলেছে। আসলে তাদের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে, এটা হচ্ছে তাদের রাজনৈতিক দৈন্যতা। তারা যে রাজনৈতিকভাবে ধ্বংস হয়েছে এটাই তার প্রমাণ।’