ঢাকায় হত্যা মামলা, আসামি হলেন মাধবপুরের বিএনপি নেতা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম
ঢাকার হাতিরঝিল থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনায় এবার আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মামলায় হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার বিএনপি নেতাকেও আসামি করা হয়েছে।
আসামি মাধবপুর থানা বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এখলাছুজ্জামান ভূইয়াকে চেনেন না মামলার বাদীও। এ ঘটনায় হতবাক মাধবপুর উপজেলা বিএনপির নেতারা। ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আসামি করায় ক্ষোভ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এখলাছুজ্জামান ভূইয়া।
গতকাল (৭ নভেম্বর) সকালে মাধবপুরের জগদীশপুর ইউনিয়ন কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা এখলাছুজ্জামান ভূইয়া বলেন, গত জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে আমরা মাধবপুর উপজেলা বিএনপি একাত্মতা ঘোষণা করে আন্দোলন করেছি। এর অনেক স্থিরচিত্রসহ লাইভ ভিডিও রয়েছে। অপরদিকে হাতিরঝিল থানায় এক ব্যক্তি ষড়যন্ত্র করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এই মামলায় আমাকে জড়ান।এসব ষড়যন্ত্রের রহস্য উদঘাটন করে তাকে আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, এর আগে ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী সরকারের আমলে বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রাখার কারণে ১৬ বছরে জাকারিয়া নামের জগদীশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতা একাধিক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আমাকে আসামি করে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাদের হয়রানি করার কারণে ৫ আগস্ট বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা জাকারিয়ার বাড়ি ঘেরাও করে। এরপর থেকে সে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে এবং বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে। ধারণা করছি, জাকারিয়াই হয়রানি করার জন্য মামলায় আমার নাম ঢুকিয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আমরা বিএনপির হাইকমান্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাদের বলেছেন, এ বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।
মাধবপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান হামদু বলেন, এখলাছুজ্জামান বিএনপির একজন নিবেদিত কর্মী। আমরা তার জন্য প্রয়োজনে উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে প্রত্যয়নপত্র দেব।
এদিকে মামলার বাদী মোজারুল আসামি এখলাছুজ্জামান ভূইয়াকে চেনেন না বলে দাবি করেছেন।
হাতিরঝিল থানার ওসি মোহাম্মদ রাজু বলেন, মামলাটি কোর্টে দায়ের করা হয়েছে। কোর্টের নির্দেশে মামলাটি আমরা এজাহারভুক্ত করি। বিষয়টি তদন্তাধীন।