অন্তর্বর্তী সরকারকে গয়েশ্বর
বৈষম্যবিরোধীর আড়ালে আরেকটি বৈষম্য সৃষ্টি হলে মাশুল কে দেবে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৯ পিএম
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ছাত্র ও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিভাজন সৃষ্টি করা ঠিক না। বৈষম্যবিরোধীর আড়ালে আরেকটি বৈষম্য সৃষ্টি হলে তার মাশুল কে দেবে? কিভাবে দেবে তা আগাম বলা যাচ্ছে না। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যেটুকু সংস্কার করা দরকার তা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে করবেন। এরপর রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংসদের মাধ্যমে সংস্কার করবে।
রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে বিএনপির ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী প্রচার দল কর্মসূচির আয়োজন করে।
তিনি বলেন, রাজনীতিবিদদের মূর্খ ও স্বার্থপর ভাবা ঠিক হবে না। এত ঘৃণা করা সঠিক না। আমাদেরতো অবদান আছে। আপনাদের (সরকার) জ্ঞান গরিমা আছে, লিখেন-পড়েন। কিন্তু বাস্তবায়নটা রাজনীতিবিদ, শ্রমিকেরা করেন। বাস্তবায়ন ও ভাবনা এক জিনিস না।আপনারা ভাবনায় স্বর্গরাজ্য তৈরি করতে পারেন, বাস্তবায়ন করতে গেলে দেখবেন কত পদে পদে হোঁচট খান। আপনারা ব্যর্থ হলে জাতি ব্যর্থ হবে। আপনারা ব্যর্থ হলে আমাদের ১৬ বছরের আন্দোলনের ফসল ব্যর্থ হবে। আমরা চাই আপনারা সফল হোন। সেই জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে আসছি।
বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নামে মামলার বিষয়ে জাতি ক্ষুব্ধ হয়েছে। আমাদের এখনও প্রতিদিন আদালতে যেতে হয়। এটা কেন বিবেচনায় আসে না। আপনাদের মিথ্যা মামলার জন্য আমরা যদি সমব্যতিত হতে পারি, সোচ্চার হতে পারি। আপনারা দায়িত্ব গ্রহণের পরে আমাদের মামলাগুলো আগের মতোই আছে।
দায়িত্ব নেওয়ার পরে কর্মকাণ্ডের অগ্রাধিকার বর্তমান সরকারের মধ্যে নেই বলে দাবি করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
তিনি বলেন, তারা সবাই এনজিও পরিচালনা করেছেন, কেউ শিক্ষকতা করেছেন। কারও দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা নেই। দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা এখন সবচেয়ে বেশি আছে বিএনপির। তাই বিএনপির কাছে পরামর্শ নেওয়া উচিত ছিল তাদের। তাহলে ফেনী, সিলেট ও উত্তরাঞ্চলের বন্যার বিষয়ে আগাম পদক্ষেপ নিতে পারতাম।
বন্যায় সরকারের তৎপরতা চোখে পড়েনি দাবি করে আলাল বলেন, সেনাবাহিনী ও বিজিবির তৎপরতা ছিল কিছু জায়গায়। কিন্তু এই সরকারের উপদেষ্টারা, যারা হঠাৎ করে ঘুম থেকে উঠে একদিন দেখলেন যে, সরকারের অংশ হয়ে গেছি। তারা কিন্তু সেই ধরনের তৎপরতা দেখাননি।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দেশ পরিচালনায় যাদের অভিজ্ঞতা আছে, তাদের পরামর্শ নিয়মিত নেন। সেটা জাতির জন্য ভালো হবে, ওনাদের জন্য ভালো হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মাহফুজ কবির মুক্তার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু প্রমুখ।