‘শেখ হাসিনার বান্ধবীরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে বসে আছেন’

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:৩২ পিএম

শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ‘রাজনৈতিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করার চক্রান্ত চলছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।
তিনি বলেন, ‘এখনো শেখ হাসিনার বান্ধবীরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে বসে আছেন। গুলি করার লোক, বিএনপি অফিস ভাঙার নায়ক মেহেদী, হারুন, বিপ্লব ওরা কোথায়? এখনো পুলিশের বিভিন্ন পদে শেখ হাসিনার লোকেরা বহাল তবিয়তে আছেন। এদেরকে যদি আইনের আওতায় না আনেন, তাহলে মানুষ কথা বলবে, মানুষ কষ্ট পাবে। অনুগ্রহ করে এদেরকে আইনের আওতায় আনুন।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম আয়োজিত এক প্রতিবাদী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘খুনি হাসিনার ক্ষমা নেই। খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশে এনে বিচার করতে হবে। বাংলাদেশের যেসব পুলিশ কর্মকর্তা শেখ হাসিনার নির্দেশে গুলি করেছেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। না হলে আমাদের ছাত্র-সমাজের যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন, তারা কবরে থেকেও শান্তি পাবে না।’
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সময়ক্ষেপণ না করার অনুরোধ জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জনগণের প্রত্যাশা আপনাকে (ড. ইউনূস) পূরণ করতে হবে। বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো যারা ধ্বংস করে দিয়েছে, যারা বিচার-বিভাগকে নিজের তল্পিবাহক করেছেন, যারা শ্রেফ সংসদকে নিজের দলের কর্মিসভায় পরিণত করেছে, যারা বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে ধ্বংস করেছে, তারা আজকে প্রেস কনফারেন্স করে বিদায় নিলে চলবে না। তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যতদিন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ছিল, ততদিন নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, আমার নেত্রীকে বিনা কারণে সাজা দিয়েছে। সেই শেখ হাসিনার বিচার আমরা দেখে যেতে চাই। শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে ফেরত আনতেই হবে, আনার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।’
জয়নুল আবদিন ফারুক আরও বলেন, ‘আবু সাঈদের রক্তের দাগ না শুকাতেই এই সরকারের (অন্তর্বর্তী সরকার) বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে দেশকে অশান্ত করার প্রক্রিয়া আমরা দেখতে পাচ্ছি। একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে, স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন কর্মী হিসেবে আমাদের দায়িত্ব অপরিসীম।’
বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক বেগম রাশেদা বেগম হিরা, বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উপদেষ্টা রোটারািয়ান এম নাজমুল হাসান প্রমুখ।