সরকারই সিন্ডিকেটের মূল পৃষ্ঠপোষক: বিএনপি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৪, ১০:১৭ পিএম
রমজান মাসেও সরকার মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে বলে দাবি করেছে বিএনপি। দলটি বলছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বমুখী দামে মানুষ আজ দিশেহারা। ডামি নির্বাচনের সরকার বাজারে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে হাঁকডাক দিলেও এটা এখন প্রমাণিত যে, সরকারই সিন্ডিকেটের মূল পৃষ্ঠপোষক।
ফ্যাসিস্ট সরকার বিগত ১৬ বছরে কখনোই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে পারেনি। সরকার আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিলেও আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম নিম্নমুখী তখনও সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। কারণ, এই সিন্ডিকেটের মূল পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে সরকার।
মঙ্গলবার বিএনপির পক্ষে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাজারে সব নিত্যপণ্যের দর অস্বাভাবিক, টালমাটাল। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী সাধারণ জাতের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ১১০০ টাকা কেজি, এর বাইরে গত বছরের তুলনায় আলুর দাম ১০৮ শতাংশ, রসুন (আমদানি) ৪৩ শতাংশ, আদা (দেশি) ৬০ শতাংশ, পেঁয়াজ (দেশি) ১৮৩.৩৩ শতাংশ, পেঁয়াজ (আমদানি) ২২৮ শতাংশ বৃদ্ধি সামগ্রিকভাবে সরকারি দলের অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে ভোক্তাদের জীবন চরমভাবে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। দ্রব্যমূল্যের লাগাতার ঊর্ধ্বগতি, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য এবং সরকারের প্রতারণাপূর্ণ ভূমিকার কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।
বিএনপি আরও বলছে, কয়েক দিন আগে সরকার গরুর মাংস, দেশি পেঁয়াজ, ছোলা, ব্রয়লার মুরগিসহ ২৯ নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। কিন্তু এর কোনো কার্যকারিতা বাজারে নেই। বেঁধে দেওয়া ২৯টি পণ্যের দাম তো কমেইনি বরং বেড়েছে। ফলে সরকারের এসব তৎপরতা যে জনগণকে কেবল ধোঁকা দেওয়ার জন্যই সেটা এখন স্পষ্ট। শুধু তাই নয়, জনগণ এসব প্রতারণা বুঝে ফেলায় সরকারি দলের নেতারা এখন ন্যক্কারজনকভাবে বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতির দায় বিরোধী দলের উপরে চাপাতে চাইছে।
বিএনপি বলছে, নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে ডামি সরকার অপপ্রচার, অপবাদ আর হুমকির আশ্রয় নিয়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার চোখ রাঙিয়ে ক্ষুধার্ত মানুষের ক্ষোভকে দমিয়ে রাখতে চাচ্ছে। জনদুর্ভোগ, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ সব অন্যায়-অবিচারের মূল কারণ জবাবদিহিতাবিহীন অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী সরকার এবং একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার উদগ্র আওয়ামী বাসনা। সুতরাং জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সমস্যার মূলে আঘাত করতে হবে এবং জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এই সিন্ডিকেটের পৃষ্ঠপোষক, লুটেরা ও প্রতারক ডামি সরকারের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে জনগণকেই এই মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।