জালিয়াতি করে বিএনপি নেতাদের নামে মনোনয়নপত্র কিনছে সরকার, অভিযোগ রিজভীর
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৬ পিএম
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, ‘২০১৪ ও ১৮ সালের নির্বাচনে আমরা সরকারের নানা ফন্দি দেখেছি। দমন নিপীড়নের ধারা দেখেছি। এবারও একই চিত্র। দেশের মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্রের সব তথ্য সরকার হ্যাক করে নিজের কাছে রেখেছে। এটা দিয়ে তারা প্রতারণা করার চেষ্টা করছে। জালিয়াতি করে জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নামে মনোনয়পত্র কিনছে সরকার। অথচ বিএনপি নেতারা তা জানেন না। কারণ এর কর্তৃত্ব শেখ হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী) সরকারের কাছে।’
মঙ্গলবার রাতে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘জনসমর্থন বিহীন সরকার মানুষের চাওয়া পাওয়ার পাত্তা দিচ্ছে না। শুধুমাত্র কিভাবে অবৈধ কাজ সম্পাদন ও বাস্তবায়ন করা যায় সেদিনে নজর দিচ্ছে। এজন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য সরকার হ্যাক করছে। যার ফলাফল আমরা এখন পাচ্ছি। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিনের নাম দিয়ে হ্যাক করা আইডি ব্যবহার করে মনোনয়নপত্র কেনা হয়েছে। পরে বিষয়টি তিনি জানতে পেরে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে দীর্ঘমেয়াদী সংকটে নিয়ে যাচ্ছেন। শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত ইচ্ছায়। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে। গণতন্ত্রের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কোনো আস্থা নেই।’
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো সরকারের দুঃশাসনের শিকার। বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ঘৃণা বক্তব্য দিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অগ্নিসন্ত্রাস, সহিংসতার বিষয়গুলো মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বারবার বলে আসছেন তিনি। এমন দুঃশাসন, দুঃসময় আমাদেরকে অতিক্রম করতে হবে। আন্দোলনের মধ্যদিয়ে সরকারকে অবশ্যই পরাজিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে দেশব্যাপী তাণ্ডব চালাচ্ছেন। বিগত ১৫ বছর ধরেই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নানাভাবে নির্যাতন চলছে। কারণ এই সরকারের জনসমর্থন নেই। পায়ের নিচে মাটি নেই। আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। যে কারণে তারা ভোটকে ভয় পায়। ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখতে চায়।’