Logo
Logo
×

বিএনপি

২২ পেশাজীবী সংগঠনের বিবৃতি

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৪১ পিএম

মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতাকর্মীদের মুক্তি, গণগ্রেফতার ও ‘গায়েবি’ মামলা বন্ধ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ২২টি পেশাজীবী সংগঠন।

বিএনপি সমর্থক শিক্ষক, চিকিৎসক, কৃষিবিদ, প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পেশার এসব পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা বলেছেন- রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রাখতে সরকার পোড়ামাটিনীতি গ্রহণ করেছে। 

রোববার বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। 

পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা বলেন, বিরোধী জোটের কর্মসূচি ঘিরে যেভাবে বল প্রয়োগ করা হয়েছে, তা কেবল অনাকাঙ্ক্ষিতই নয়, অত্যন্ত নিন্দনীয়। যেভাবে জাতীয় ও বিরোধী দলের নেতাদের গণগ্রেফতার, খুন এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের নামে গণহারে গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে তা সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। দেশজুড়ে সরকার একটি ভীতিকর ও শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সভা-সমাবেশের অধিকার মানুষের সাংবিধানিক ও নাগরিক অধিকার। সভা-সমাবেশে বাধা এবং কোনো কারণ ছাড়াই এ ধরনের গণগ্রেফতার সাংবিধানিক ও নাগরিক অধিকার পরিপন্থি।

বিবৃতিতে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এম এ আজিজ, গাইনোকলজিস্ট ডা. ফাতেমা ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জাহিদুল কবির জাহিদসহ পেশাজীবী ও জাতীয় নেতাদের বিনা অভিযোগে এবং বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে ‘গায়েবি’ মামলা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলন বানচাল করে ২০১৮ সালের মতো আবারও ক্ষমতা দখলের হীন উদ্দেশ্যে অন্যায়ভাবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার করা হচ্ছে উল্লে­খ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার দেশ থেকে আইনের শাসন নির্বাসনে দিয়ে একটি মগের মুল্লুক কায়েম করেছে। দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়া। অথচ পুলিশের হাতেই এখন মানুষের জীবন অনিরাপদ। 

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করা পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা হলেন- সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলী ও মহাসচিব কায়সার কামাল, ড্যাব সভাপতি অধ্যাপক হারুন আল রশীদ ও মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান ও যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-অ্যাবের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিজু ও মহাসচিব আলমগীর হাছিন আহমেদ, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জাকির হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম প্রমুখ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম