Logo
Logo
×

বিএনপি

পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্য একতরফা নির্বাচনের আলামত: রিজভী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৩, ০৭:৩১ পিএম

পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্য একতরফা নির্বাচনের আলামত: রিজভী

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দলীয় বক্তব্য ‘একতরফা নির্বাচনের আলামত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 

রোববার এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘শনিবার পুলিশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে এক কর্মকর্তার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। উচ্চপর্যায়ের ওই কর্মকর্তার বক্তব্য শোনার পর মনে হয়েছে, উনি কি পুলিশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা না শাহবাগ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক। আমি এর কোনো পার্থক্য করতে পারিনি।’

রিজভী বলেন, ‘যখন উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা হাছান মাহমুদের (তথ্যমন্ত্রী) কিংবা যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাদের ভাষায় কথা বলেন তাতেই বোঝা যায় আগামী নির্বাচন কী ভয়ংকর হবে। ওই নির্বাচনে জনগণ যেতে পারবে না, ভোটাররা যেতে পারবে না। নির্বাচনে বিরোধী দল অংশগ্রহণ দূরে থাক, প্রতিযোগিতা দূরে থাক ওই নির্বাচন হবে একতরফা আরেকটা অভিনব নির্বাচন।’

তিনি বলেন, ‘এই পুলিশ প্রশাসন দিয়ে গ্রামে গ্রামে বলানো হবে যারা ভোট দিতে যাবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে, যারা কোনো প্রচারণা করবে তাদের গ্রেফতার করবে। এভাবেই শেখ হাসিনা আবার একতরফা নির্বাচন, আবার একটা ম্যান্ডেটবিহীন নির্বাচন করার একটা বড় ধরনের নীলনকশা তৈরি করছেন।’

নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের উদ্যোগে খালেদা জিয়া ও সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী রেজাউল করীম রানাসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধন হয়। এতে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, হুমায়ুন ইসলাম খান, সেলিমুজ্জামান সেলিম, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসাইন, তাঁতী দলের সদস্য সচিব মজিবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রিজভী বলেন, ‘গোটা বিশ্ব থেকে আওয়ামী সরকার বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সঙ্গে কেউ নেই। হয়তো দু-একটা দেশ থাকতে পারে। সেখানে তারা (সরকার) খুব হাত-পা ধরছে, কাকুতি-মিনতি করছে- তারা যেমনভাবে চায় সেভাবে তাদের ক্ষমতায় যেন রাখা হয়। এরকম শোনা যায়, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী কোনো মন্ত্রী পাশের দেশের কলকাতার সাংবাদিকদের নাকি দুই টন ইলিশ পাঠিয়েছেন। আমরা জানি না, এ ঘটনা কতটুকু সত্য। তবে এরকম জনশ্রুতি আছে, যাতে এ অবৈধ সরকারের পক্ষে লেখালেখি করা যায়। কিন্তু ভারত তো একটি গণতান্ত্রিক দেশ, ওখানে বিবেকসম্পন্ন অনেক সাংবাদিক আছেন। দুই-একটাকে হয়তো কেনা যায়, কিন্তু সবাইকে তো কেনা যায় না। তারা বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের জন্য, অনেকেই সেখানেও কলম ধরেছেন- তারাও লিখছেন। সবাইকে ইলিশ মাছ দিয়ে কেনা যাবে না।’

মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনকে গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নেওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে বিএনপির কর্সসূচিতে যুবলীগ-ছাত্রলীগ আক্রমণ করে তাদের তো তুলে নিয়ে যাওয়া হয় না, তাদের তো রিমান্ডের নামে নির্যাতন করা হয় না। তারা প্রটেকশন পায়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রটেকশনে তাদের এগিয়ে দেওয়া হয়। তোমরা বিএনপির কর্মসূচি-মিছিলে আক্রমণ কর- এই হচ্ছে শেখ হাসিনার শাসন, তার সরকারের নীতি। এই পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায় না। এই পরিস্থিতি প্রতিহত করতে হবে। গণতন্ত্রের সুবাতাস বইয়ে দিতে হবে। গণতন্ত্রের মুক্তির দিশারী, গণতন্ত্রের মুক্তির বাতিঘর খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তা না হলে কারও জীবনের নিরাপত্তা থাকবে না।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম