বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বহির্বিশ্ব প্রশ্ন তুলছে: আমির খসরু
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৩, ১০:৫০ পিএম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে আলোচনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে গেলেন। সেখানেও তার দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি হবে না- তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কিনা- তা নিয়ে কথা হচ্ছে।’
‘কিন্তু অন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী বিদেশে গেলে তো নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনা হয় না। দেশে-বিদেশে এ প্রশ্ন তো প্রধানমন্ত্রীর আত্মসম্মানের ব্যাপার। কারণ বাংলাদেশ আইনের শাসন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আইনে স্বাক্ষর করেছি।’
সোমবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার এবং আন্তর্জাতিক উদ্বেগ’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে আগামীর বাংলাদেশ।
সংগঠনটির চেয়ারম্যান মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সাবেক রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আ ন ম এহসানুল হক মিলন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।
আমির খসরু বলেন, ‘বর্তমান সরকার অবৈধ, দখলদার এবং ফ্যাসিস্ট। তারা জোর করে ক্ষমতা দখল করে আছে। আজকে বিশ্ব বিবেক বাংলাদেশকে প্রশ্ন করছে। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হওয়ায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে তাদের নির্ভরশীলতা বেড়েছে। এখন তারা বলছে, সংবিধানের বাইরে নির্বাচন করবে না। কিন্তু সংবিধান তো জনগণের জন্য। সংবিধানের জন্য তো জনগণ নয়। সারাবিশ্বে সংবিধানে জনগণ ও রাষ্ট্রের স্বার্থ সুরক্ষা করা হয়েছে। সব সংবিধানের মৌলিক ও নীতিগত দিক হলো রাষ্ট্র এবং জনগণের স্বার্থ সুরক্ষা করতে হবে। কিন্তু বাংলাদেশের সংবিধানে তার উল্টো।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রথমে রাষ্ট্র ও জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল স্বাধীনতার পর বাকশাল কায়েম করে। আজকেও তারা ভোটাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা কেড়ে নিয়েছে। সংবিধানের ৫ম সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোট চুরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। আসলে সাংবিধানিকভাবে জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়ার জন্য যত ষড়যন্ত্র ও আইন আছে আওয়ামী লীগ সরকার তা করেছে। বাকশাল করেছে, ৫ম সংশোধনী করেছে। এখন তারা জাতীয় পরিসেবা আইন করেছে। এখানে কেউ কোনো প্রতিবাদ করতে পারছে না। এটা হচ্ছে সংবিধানের পুরোপুরি বিরোধী এবং আন্তর্জাতিক আইনেরও বিরোধী।’
আমির খসরু আরও বলেন, ‘প্রতিনিয়ত গুম-খুন ও গায়েবি মামলা দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী) ফের নির্বাচনে ভোট চুরির প্রকল্প নিয়েছেন। সেজন্যই খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়েছে। কারণ তিনি বাইরে থাকলে জনগণের আন্দোলনে তাদের নির্বাচনি প্রকল্প ভেসে যাবে। সুতরাং এটাও তাদের নির্বাচনে ভোট চুরির একটি প্রকল্প।’