বাধা আসবে, অতিক্রম করতে হবে: বিএনপি মহাসচিব
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:৫৭ পিএম
দেশে এখন গণতন্ত্র নেই উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘গণতন্ত্র নেই বলেই কারও অধিকার নেই। সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে টিকে থাকার জন্য অনেকগুলো আইন তৈরি করেছে। তারা সংবিধানের মৌলিক জায়গাগুলো পরিবর্তন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার নিজেদের মতো সংবিধান পরিবর্তন করে এখন বলছে সংবিধান অনুযায়ী চলতে হবে। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। অথচ সংবিধানে মানুষের কথা বলার অধিকার দিয়েছে। কিন্তু সরকারের সমালোচনা করলে মামলা দেওয়া হচ্ছে, নির্যাতন করা হচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বাধা আসবে, তা অতিক্রম করতে হবে।’
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে নওগাঁয় র্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল প্রতিবাদী আলোচনা সভায় ফখরুল এসব কথা বলেন।
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, মিডিয়া সেলের সদস্য শাম্মী আক্তার, মহিলা দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক নায়েবা ইউসুফ ও মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রুমা আক্তার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বলে সংবিধান মেনে চলতে হবে। সংবিধানে তো বলাই আছে আমার কথা বলার অধিকার দিতে হবে। সরকারের বিরুদ্ধে কি কথা বলা যাবে না? সরকার কি রাষ্ট্র বা গড? আমাদের অবশ্যই কথা বলতে হবে।’
এ সময় ফখরুল আরও বলেন, ‘নিজেদের প্রয়োজনে আওয়ামী লীগ সংবিধান পরিবর্তন করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তখন বলেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার জনগণের দাবি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অপকৌশলের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে ২০১২ সালে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তুলে দেয়। কারণ তারা জানে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থাকলে তারা আর ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারবে না। এভাবে তারা সংবিধান পরিবর্তন করেছে।’
নওগাঁয় র্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একজন নাগরিক ও সরকারি কর্মকর্তাকে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া ভয়াবহ আইনের লঙ্ঘন। জেসমিন আক্তার র্যাবের নির্যাতনে বা স্ট্রোক করে মারা গেলেন, এটা পরের প্রশ্ন। প্রশ্ন একটাই তাকে তুলে নেওয়া হলো কোন আইনে?’