আন্দোলন নস্যাৎ করতে পঞ্চগড়ের ঘটনা ঘটিয়েছে সরকার: ফখরুল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৩, ০৬:১৯ পিএম
পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক সংকট সরকারের সৃষ্টি দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘পঞ্চগড়েও চরম একটা সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটানো হয়েছে। দুইজন নিহত হয়েছে, দোকান-পাটসহ বাড়িঘর লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আমাদের প্রশ্ন যে, এই ধরনের একটা বিতর্কিত বিষয় নিয়ে সরকার চুপ করে থাকলেন কেন?’
‘সেখানে সমাবেশ করা অনুমতিই বা দেওয়া হলো কেন বা পরবর্তীকালে যখন আক্রমণ হয়েছে তখন পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেটা দেখল কেন, সেটাকে তারা প্রতিহত করতে সক্ষম হলো না কেন? সাম্প্রদায়িক সমস্যা, বিভেদ সৃষ্টির পেছনে সরকারের ইন্ধন রয়েছে। তারা অত্যন্ত অসত উদ্দেশ্যে করছে।’
রোববার গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে ফখরুল এসব কথা বলেন। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক হয়।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু করেছে, অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করেছে। দ্রব্যমূল্যের দাম যখন জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে তখন রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। এ পরিস্থিতি অন্য খাতে প্রবাহিত করতে ও জনমনে বিভ্রান্ত করার জন্যই এই ধরনের সাম্প্রদায়িকতা ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন নস্যাৎ করতে চায় সরকার। এই ঘটনার জন্য সরকার সম্পূর্ণ দায়ী। তাদেরকেই জবাবদিহিতার পাশাপাশি যারা দায়ী তাদের বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক হারুন আল রশীদ খান বলেন, ‘আদানি গ্রুপের সঙ্গে সরকারের বিদ্যুৎ চুক্তির বিষয়টাকে ঘুরানোর জন্য পঞ্চগড়ে কাদিয়ানি ইস্যু তৈরি করা হয়েছে। এটা মানুষ এখন বলাবলি করছে। আপনারা দেখেছেন, কয়েকদিন আগে প্রাথমিক বৃত্তির ফলাফলকে সরকার কিভাবে বিতর্কিত করেছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু থেকে শুরু করে শিক্ষাঙ্গণে এক অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে অবস্থান করে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে যাব।’