ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকানো কতটা স্বাস্থ্যকর?
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৫২ পিএম
ভিজে চুল নিয়ে বাইরে যেতে পারবেন না। চটজলদি চুল শুকাতে ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার করেন অনেকেই। তবে নিয়মিত ড্রায়ারের গরম তাপ সরাসরি লাগলে চুল রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। মাথার ত্বকও শুষ্ক হয়ে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। অতিরিক্ত তাপ ফলিকলের ক্ষতি করে। চুল ঝরে পড়ার সমস্যাও বৃদ্ধি পায়। তাই মা-কাকিমাদের নিদান হলো— খোলা হাওয়ায় ভিজে চুল মেলে রাখা।
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন— দীর্ঘক্ষণ ভিজে চুল খুলে রাখলে যে পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে, এর তুলনায় অনেক কম ক্ষতি হয় ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার করলে। খোলা হাওয়ায় চুল শুকানোর চেয়ে ব্লো ড্রাই ব্যবহার করা অনেক ভালো।
তারা আরও বলেছেন, ভিজে চুল অত্যন্ত স্পর্শকাতর হয়। শ্যাম্পু ও ঈষদুষ্ণ পানির সংস্পর্শে চুলের কিউটিকলগুলো উন্মুক্ত হয়ে যায়। সেই সময়ে যদি বেশি ঘষাঘষি করা হয়, তা হলে চুল পড়বেই। চুল যতক্ষণ ভিজা থাকবে, ক্ষতির আশঙ্কা ততই বেড়ে যাবে।
পাকা চুল ঢাকা দেওয়ার জন্য অনেকেই রাসায়নিক দেওয়া রঙের ওপর নির্ভর করেন। নায়িকাদের মতো চুল পাওয়ার আশায় নানা রকম রাসায়নিক দেওয়া ট্রিটমেন্টও করান। এ ধরনের চুল খোলা হাওয়ায় শুকানো আরও বিপজ্জনক। এ ক্ষেত্রে ব্লো ড্রাই না করে উপায় নেই।
চুল পড়া রোধে কী কী করবেন না—
১. ভিজে চুল নিয়ে ঘুমাতে যাওয়া যাবে না।
২. চুল সোজা করার বা কোঁকড়ানোর যন্ত্র দিয়ে ঘন ঘন চুলে কায়দা না করাই ভালো।
৩. চুলে ঘন ঘন রাসায়নিক দেওয়া রঙ বা প্রসাধনী মাখা চলবে না।
ঠিক কীভাবে ব্লো ড্রায়ার ব্যবহার করলে চুলের কোনো ক্ষতি হবে না—
কেশ চর্চা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত চুল পড়ার জন্য শুধু যন্ত্রকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। এর সঙ্গে অনেক ধাপ জড়িয়ে আছে। প্রথমত ভিজে চুল অত্যন্ত যত্নসহকারে মাইক্রোফাইবার তোয়ালে দিয়ে বেশ কিছু ক্ষণ জড়িয়ে রাখতে হবে। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা মাথায় ওই তোয়ালে জড়িয়ে রাখা যাবে না।
চুল আধাশুকনো হলে এবার ব্লো ড্রাই করার পালা। এখানেও বেশ কিছু কৌশল আগে থেকে জেনে রাখা প্রয়োজন। ভিজে চুলে ড্রায়ার ব্যবহার করার আগে ‘হিট প্রোটেকশন স্প্রে’ বা তাপ নিরোধক সিরাম চুলে মেখে নিতে হবে।
যতই তাড়া থাকুক, দ্রুত চুল শুকানোর জন্য যন্ত্রের তাপমাত্রা প্রথম থেকেই ‘হাই’ বা বেশির দিকে রাখা যাবে না। ‘লো’ থেকে ‘মিডিয়াম’ অর্থাৎ মাঝারি তাপমাত্রায় থাকলে চুলের ক্ষতি হবে না। কিন্তু প্রয়োজন বুঝে তাপমাত্রা বাড়িয়ে বা কমিয়ে নেওয়া যেতে পারে।