প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ
ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ পিএম
ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ২০২১ সালভিত্তিক সিনিয়র অফিসার (জব আইডি নং-১০১৮০) নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগ থাকায় নিয়োগ পরীক্ষাটি বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন প্রার্থীরা।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা। ‘ব্যাংক চাকরিপ্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থী’ ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ২০২১ সালভিত্তিক সিনিয়র অফিসার নিয়োগ পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম ও প্রশ্নফাঁসের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। গত ২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর প্রিলিমিনারি ও ৮ ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, যার ফলাফল এখনও প্রকাশিত হয়নি।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ‘আমরা এর আগে ৪ বার মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেছি এবং স্মারকলিপি জমা দিয়েছি কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোনো আশানুরূপ সাড়া দেওয়া হয়নি। একের পর এক টালবাহানা করেছে। এবার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আমরা ফিরে যাব না। প্রয়োজনে অনশনে বসব। পরীক্ষার জালিয়াতি ও প্রশ্নফাঁসের খবর গণমাধ্যমে সুস্পষ্ট প্রমাণসহ উঠে এলেও জালিয়াতির বিষয়টির প্রতি উদাসীন কেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক? একজন কম্পিউটার অপারেটর কীভাবে ২৫০ কোটি টাকার মালিক হন? এই সিনিয়র অফিসার নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে আবার নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।’
এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে আহ্বায়ক তারিকুল ইসলাম তানিমের নেতৃত্বে ৩ জন প্রতিনিধিকে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ভেতরে পাঠানো হয়।
প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন বশিরের সঙ্গে আলোচনায় বসে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন এবং পরীক্ষাটি বাতিল করার দাবি জানান। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা আশানুরূপ হয়েছে বলে গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) কর্তৃক নেওয়া এই পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রোগ্রামার তথা বর্তমান ডিজির স্টাফ অফিসার একেএম শাহীনুজ্জামানের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে বিশদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।