আন্তঃব্যাংকে সর্বোচ্চ ১১৮ টাকা দরে ডলার বিক্রি

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৪, ১০:৪৯ পিএম

আন্তঃব্যাংকে ডলারের দাম বেড়ে গত দুদিনে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠেছে। ডলারের সর্বনিম্ম ও সর্বোচ্চ দরও একই হয়ে গেছে। ফলে লেনদেনের গড় দামও একই। গত দুদিন ধরে আন্তঃব্যাংকে প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১১৮ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
ওই দরে মঙ্গলবার আন্তঃব্যাংকে ৩০ লাখ ডলার বেচাকেনা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থেকেও ডলারের দাম এভাবে বাড়াকে ডলার সংকটের মূল কারণ বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ডলার সংকট কমে গেছে।
এদিকে সীমার সর্বোচ্চ পর্যায়ে ডলারের দাম ওঠে যাওয়ায় এখন আবার এর দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ডলারের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে ওঠায় বেচাকেনার ক্ষেত্রে বহুবিদ সমস্যা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৯ মে থেকে ডলার লেনদেনে ক্রলিং পেগ (একটি সীমার মধ্যে থেকে ওঠানামা) পদ্ধতি চালু করে। ওই সময়ে ডলারের মধ্যবর্তী দর সর্বোচ্চ ১১৭ টাকা বেঁধে দেওয়া হয়। ব্যাংকগুলো এর চেয়ে এক টাকা কম বা বেশিতে বিক্রি করতে পারবে। সে হিসাবে ডলারের দাম সর্বনিম্ন ১১৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১১৮ টাকা দরে বিক্রি করতে পারবে। প্রথম দিকে ব্যাংকগুলোতে ডলারের দাম সর্বনিম্ম দর ১১৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ দর ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা ছিল। পরে তা বাড়তে থাকে।
মঙ্গলবার ডলারের গড় দাম কেনার ক্ষেত্রে ১১৭ টাকা ও বিক্রির ক্ষেত্রে ১১৮ টাকায় ওঠেছে। নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১১৯ টাকা দামে। তবে ব্যাংকগুলোতে এই দামে ডলার মিলছে না।
আন্তঃব্যাংকে আগে ডলারের দাম ১১৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা ছিল। ধীরে ধীরে তা বেড়ে গত দুদিন ১১৮ টাকায় ওঠেছে। ১১৮ টাকা দরে কোনো ব্যাংক ডলার কিনলে ওই ডলার আমদানিকারকের কাছে কিভাবে ১১৮ টাকায় বিক্রি করবে- এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ব্যাংকাররা। কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধান অনুযায়ী বর্তমানে ১১৮ টাকার ওপরে ডলার বিক্রির সুযোগ নেই। ডলার কেনাবেচনার সঙ্গে ব্যাংকের অপারেশনাল কষ্ট রয়েছে।
বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রা বেচাকেনার ক্ষেত্রে ব্যাংক লোকসান দিতে পারবে না। এসব জটিলতায় এখন আন্তঃব্যাংকে ডলার লেনদেন কম হচ্ছে। এর অন্যতম কারণ ডলার সংকটও।
এদিকে আইএমএফের ঋণের কিস্তি ছাড় ও অন্যান্য উৎস থেকে আরও ৯০ কোটি ডলার পাওয়াসহ মোট ২০৫ কোটি ডলারের জোগান এসেছে বাজারে। তারপরও ডলারের সরবরাহ বাড়ছে না। এলসি খোলার জন্য এখনো গ্রাহকরা আগাম ১২২ থেকে ১৩০ টাকায় ডলার কিনছেন।