‘ড. ইউনূস মানি লন্ডারিং করেছেন প্রমাণ আছে’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫০ পিএম
গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যান একেএম সাইফুল মজিদ বলেছেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস মানি লন্ডারিং করেছেন- এমন প্রমাণ হাতে রয়েছে। গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ ফান্ড-এসব প্রতিষ্ঠান গড়তে গিয়ে তিনি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে শত শত কোটি টাকা সরিয়েছেন। গত সাত মাস নিরীক্ষা (অডিট) করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
শনিবার রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
চেয়ারম্যান হিসাবে আপনি দায় নেবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সাইফুল মজিদ বলেন, এখানে আমি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠান দখল না করে কেবল নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠান লাভজনক নয়। লক্ষ্য কল্যাণকর। সরকার বা গ্রামীণ ব্যাংকের অনুমতি না নিয়ে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকানা দাবি করাটা ড. ইউনূসের জন্য বেমানান। কেননা, তিনি তো কোনো শেয়ার কেনেননি। তাহলে মালিক হওয়ার সুযোগ নেই। গ্রামীণ টেলিকম কেনা অর্থ গ্রামীণ ফোনের নামে বরাদ্দকৃত। এর লভ্যাংশ পাবেন গ্রাহকরা। সেটা আজ দেরিতে হলেও পরিষ্কার করছি।
সাইফুল মজিদ বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৪২তম সভায় কোম্পানি আইন মেনে ১৯৯৬ সালে গ্রামীণ কল্যাণ গঠিত হয়। আর্টিকেলস অব অ্যাসোসিয়েশনের ৪৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী, গ্রামীণ ব্যাংক গ্রামীণ কল্যাণের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিতে পারবে। গ্রামীণ কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ৪৪৭ কোটি টাকা নিয়েছেন। গ্রামীণ টেলিকম প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েও ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ২৪ কোটি টাকা অনুদান নিয়েছেন। কিন্তু গ্রামীণ টেলিকম এ পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংককে সুদ ও লভ্যাংশ বাবদ কোনো টাকা দেয়নি। গত ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণ ব্যাংকের ১৫৫তম বোর্ড সভায় সাতটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও নির্দিষ্টসংখ্যক পরিচালক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যা সম্পূর্ণ গ্রামীণ ব্যাংকের সৃষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর আইন মেনে করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূর মোহাম্মদ, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক মোহাম্মদ জুবায়েদ, আইন উপদেষ্টা মাসুদ আক্তারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।