Logo
Logo
×

আওয়ামী লীগ

লন্ডন থেকে বার্তা গুপ্তহত্যার দিকে যাবে বিএনপি: কাদের

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:২২ পিএম

লন্ডন থেকে বার্তা গুপ্তহত্যার দিকে যাবে বিএনপি: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তারা (বিএনপি) লাশ বানিয়ে জনগণকে আতঙ্কিত করতে পারে, এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও সতর্ক হতে হবে। 

শনিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, বিএনপি স্বাভাবিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নাশকতার দিকে গেছে। এখন আমরা খবর পাচ্ছি, লন্ডন থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, গুপ্তহত্যার দিকে তারা যাবে। এ নির্বাচনকে ঘিরে হয়তো দেখা যাবে কোনো গুরুত্বপূর্ণ নেতা বা প্রার্থীকে লাশ বানানোর চক্রান্ত তাদের আছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে, আন্দোলনের নামে গাড়ি পুড়িয়ে, বাস পুড়িয়ে, ট্রেন পুড়িয়ে মা-সন্তানকে মেরেও তাদের আন্দোলনের কাঙ্ক্ষিত রেজাল্ট পাচ্ছে না। এখন তারা এই নির্বাচনে লাশ বানানোর যে অপরাজনীতি করছে, সে ইনফরমেশনও আমরা পাচ্ছি। তিনি বলেন, খুবই ভয়াবহ পরিকল্পনা নিয়ে তারা আগাচ্ছে। সবকিছু ব্যর্থ হওয়ার পর তারা এখন লিফলেট বিতরণ করছে। এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে আরও ভয়ংকর কোনো হামলার। গুপ্তহত্যার পথে তারা যাচ্ছে, আমরা সেই খবর পাচ্ছি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনে আমরা সহিংসতা চাই না। প্রার্থীরা যদি সংঘর্ষে জড়ায়, তার দায় আমরা নেব না। নির্বাচন কমিশন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে যার জন্য যে শাস্তি নির্ধারণ করবে, সেখানে আমাদের কোনো আপত্তির কিছু নেই। এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করবে। এটাই আমাদের নিয়ম। এটাই আমাদের সংবিধান। নির্বাচন কমিশন এখন শাস্তি দেওয়ার মালিক, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে, খোঁজখবর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। এটাই আমরা প্রত্যাশা করি। তিনি বলেন, আমরা আমাদের প্রার্থীদের দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য আহ্বান জানাব। নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ বিতর্কে জড়াবে না। নির্বাচনের আচরণবিধি সবাইকে মানতে হবে। আচরণবিধি লঙ্ঘন যারা করবে, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে। আমরা সম্পূর্ণভাবে এটা সমর্থন করি।

বরিশালের জনসভাস্থলে প্রবেশের সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তি ‘সংঘর্ষে নিহত নয়, হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে’ বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জনসভায় মারা যায়নি। হাসপাতালে মারা গেছে, হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে, ডাক্তার তাই বলেছে। এ সময় পাশে বসা দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের কাছে প্রশ্ন করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, কী নানক? ঠিক আছে? 

সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচনি সংঘর্ষ দেশে দেশেই হয়, আমাদের প্রতিবেশী দেশে (ভারত) আরও বেশি লোকের মৃত্যু হয়। তাই বলে সত্যকে আমরা অস্বীকার করব কেন? এটা আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। সাংবাদিকদের কাছে জানতে চান আর কয়টা নিহত হয়েছে? নিহত হওয়ার আর কোনো ঘটনা আছে কি? সে তো সংঘর্ষে নিহত হয়নি। একটা লোকের হার্ট অ্যাটাক হতে পারে, স্ট্রোক হতে পারে অথবা উত্তেজনা থেকেও হতে পারে। সে মারা গেছে হাসপাতালে। তার গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এই নির্বাচনকে আমরা ব্যর্থ হতে দেব না। নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ। শেখ হাসিনার জনসভাগুলো জনসমুদ্রে পরিণত হচ্ছে, সেটা দেখেও তারা টের পাচ্ছে না। মানুষ কত উৎসবমুখর, মানুষ কত স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। 

বিএনপিকে দমনের জন্য ও তাদের নির্বাচনে আসতে না দিতেই আওয়ামী লীগ মামলা-গ্রেফতার করছে, বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নিজেরাই নিজেদের অপকর্ম, নেতিবাচক রাজনীতির দ্বারা নিজেরাই নিজেদের নিশ্চিহ্ন করেছে। এটার জন্য আর কারও দরকার হবে না। বিএনপির অপরাজনীতি তাদের ধ্বংসের জন্য দায়ী হবে। অন্য কারও প্রয়োজন নেই। বিএনপির অপকর্মই বিএনপিকে গভীর খাদে ফেলে দিয়েছে। 

বিএনপি এখন সংলাপ চাচ্ছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে সেতুমন্ত্রী বলেন, সংকট তো কিছু আছে। সেটা তো বিশ্ব সংকটের, সেটার জন্য তো আমরা দায়ী না। সংকট যারা সৃষ্টি করছে তারা বড় শক্তি। গরিব দেশ হিসাবে আমরা তার শাস্তি পাচ্ছি। অপরাধটা তাদের, শাস্তি পাচ্ছি আমরা। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি এখন সংলাপের কথা বলছে? নির্বাচন হোক। নির্বাচন হওয়ার পরে আমরা দেখব সংলাপ করার কোনো সুযোগ আছে কি না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও সুজিত রায় নন্দী, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম