বাংলাদেশের মতো পৃথিবীর কোনো দেশে অপরাজনীতি নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।

মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোট আয়োজিত ‘আমার ভোট আমি দিব-যাকে খুশি তাকে দিব’ আগামী নির্বাচনে মুক্তিযোদ্ধার করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা চেয়েছিলাম বিএনপি নির্বাচনে আসুক। বিএনপি নির্বাচনে আসলে ভালো হতো।

তিনি বলেন, যে বিদেশি শক্তি ৭৪-এ কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছিল, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে যে বিদেশি শক্তি জড়িত ছিল, এখন আবার একই শক্তি একত্রিত হয়ে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে, আমাদের দেশের যে অর্জনগুলো রয়েছে সেটিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।

বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, তারা নির্বাচন মানে না, কিছুই মানে না। তারা দেশটাকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আগুন সন্ত্রাস করে তারা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে। ট্রেনে আগুন, বাসে আগুন দিয়ে একটি বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছে। এভাবে তারা আমাদের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

তিনি আরও বলেন, যেখানে শেখ হাসিনা স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন এবার নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন  নির্বাচন কমিশনে সরকার কোনো প্রভাব বিস্তার করবে না। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বারবার। তারপরেও সে নির্বাচন তারা হতে দেবে না। আমরা যদি একটি সুস্থ নির্বাচন করতে পারি তাহলে এদের ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করা সম্ভব। পৃথিবীর কাছে আমরা প্রমাণ করতে পারব এরা কিছু না জনগণের শক্তি বড় শক্তি। বিএনপি যতই আন্দোলন করুক, যাই করুক জনগণ তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে এবং নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা এটা প্রমাণ করতে পারব।

কামরুল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি যে বিভাজন সেই বিভাজনকে আমরা এই নির্বাচনের মাধ্যমে দূর করব। আমার লজ্জা হয় স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও এই অপশক্তি দেশে রাজনীতি করছে। পৃথিবীর কোনো দেশে এরকম অপশক্তি রাজনীতি করতে পারে না। পৃথিবীর কোনো দেশে বাংলাদেশের মতো অপরাজনীতি নেই। 

আলোচনা সভায় সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোটের চেয়ারম্যান মো. মনিরুল হকসহ জোটের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।