দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-২ আসন থেকে নৌকা প্রতীকে লড়তে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন শাল্লা উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।
রোববার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের ছোট ভাই।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এ আসনে টানা সাতবারের এমপি ছিলেন। সুরঞ্জিতের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হলে তার স্ত্রী ড. জয়া সেনগুপ্তা দুবার এমপি নির্বাচিত হন।
আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ নৌকা প্রতীক পাওয়ায় এলাকায় আনন্দের জোয়ার বইছে। এলাকাবাসী মনে করছেন দীর্ঘদিন পর রাজনীতির মাঠে সঠিক নেতৃত্ব এসেছে।
সুনামগঞ্জ সদর আসনের বাইরে এবার আলোচিত নাম ছিল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ ছাড়েন তিনি। এরপর থেকেই এলাকায় তাকে নিয়ে ভোটারদের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়।
এছাড়া নানা কারণে আলোচিত সুনামগঞ্জ-১ আসনে (তাহিরপুর, ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ ও মধ্যনগর) এবার বর্তমান সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে রতন বাদ পড়তে পারেন— এমন আলোচনা ছিল স্থানীয় রাজনীতিতে। অবশেষে তাই হয়েছে। আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা রণজিত চন্দ্র সরকার।
সুনামগঞ্জের অন্য দুটি আসনে পুরোনোরাই বহাল আছেন। সুনামগঞ্জ-৩ আসনে (জগন্নাথপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) এবারো আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। সুনামগঞ্জ-৫ আসনে (ছাতক ও দোয়ারাবাজার) আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান ওরফে মানিক আবারও দলের টিকিট পেয়েছেন।
আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর সুনামগঞ্জে যে নামটি নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে সেটি হলো মোহাম্মদ সাদিক। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম-কমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান সুনামগঞ্জ-৪ আসনে (সদর ও বিশ্বম্ভরপুর) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। রোববার ওবায়দুল কাদের প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করায় সব জল্পনা–কল্পনার অবসান হয়েছে।