নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথে থাকার প্রত্যয় যুবলীগের
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৩, ১০:২৪ পিএম
রং-বেরঙের টি-শার্ট ও টুপি পরে, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে শোভাযাত্রাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে রাজধানীসহ সারা দেশে যুবলীগের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নেতাকর্মীদের মাঝে ভিন্নমাত্রা ও উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে। এসব কর্মসূচিতে নির্বাচন পর্যন্ত মাঠে থাকার প্রত্যয় করেন সংগঠনের শীর্ষ থেকে তৃণমূল নেতারা।
শনিবার সকাল থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ও আশপাশের জেলা উপজেলার নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে বাঁশি-বাজিয়ে, ক্যাপ ও টি-শার্ট পরে ধানমন্ডির দিকে আসেন। সকাল ৮টার দিকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় যুবলীগ। এ সময় সংগঠনের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন নিখিলের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
এর আগে, যুবলীগের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ভোর ৬টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এ ছাড়া সকাল পৌনে ১০টায় বনানী কবরস্থানে শেখ ফজলুল হক মনিসহ ১৫ আগস্টের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করা হবে। বিকালে রমনা ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের সামনে সমাবেশ করে সংগঠনটি। সেখানে উপস্থিত হন যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক।
আন্দোলন-সংগ্রামে যুবলীগকে সব সময় রাজপথে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশে আসার পরে যুবলীগ তার নেতৃত্বে অবিচল ছিল। আন্দোলন-সংগ্রামে যুবলীগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আন্দোলন-সংগ্রাম সফল করতে গিয়ে যুবলীগের নেতাকর্মীরা জীবন উৎসর্গ করেছেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুবলীগ সব সময় সোচ্চার ছিল।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে পাকিস্তানি গুপ্তচর বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, যুবলীগের নেতাকর্মীরা আগামী নির্বাচনও মাঠে থেকে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি-জামায়াতের অশুভ শক্তির হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।
শেখ ফজলে শামস্ পরশের সভাপতিত্বে ও মাইনুল হোসেন খান নিখিলের পরিচালনায় সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর রশীদ, ডা. খালেদ শওকত আলী, হাবিবুর রহমান পবন, মোয়াজ্জেম হোসেন, তাজউদ্দিন আহমেদ, আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, বদিউল আলম বদি, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আল সাইফুল সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, দপ্তর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা প্রমুখ।
পরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর পর্যন্ত আনন্দ শোভাযাত্রা ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা করেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা। ঢাকার আশপাশের জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীরাও শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে যুব কনভেননের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা হয় যুবলীগ। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে যুব নেতা শেখ ফজলুল হক মনি যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। ফজলুর হক মনি ছিলেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।