ইশতেহার তৈরির জন্য মতামত চায় আ.লীগ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১০:০৬ পিএম
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ নির্বাচনি ইশতেহার তৈরির কাজ করছে। দেশের বিভিন্ন খাত সম্পর্কে ইশতেহারে কী কী বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে এবং আবারও সরকার গঠন করলে কী কী নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে এ বিষয়ে মতামত চেয়েছে দলটি।
মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির সদস্য সচিব ও দলটির তথ্য এবং গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে গঠিত আওয়ামী লীগের ইশতেহার প্রণয়ন উপ-কমিটির কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। গণমানুষের দল আওয়ামী লীগের ইশতেহার কেবলমাত্র একটি দলীয় ইশতেহার নয়; এটি প্রকৃত অর্থে গোটা জাতির ইশতেহার। আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করে সেটি গুরুত্বপূর্ণ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশের বিভিন্ন খাত সম্পর্কে ইশতেহারে কী কী বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে এবং আবারও সরকার গঠন করলে আওয়ামী লীগ কী কী নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে- এ বিষয়ে ২০ অক্টোবরের মধ্যে মতামত প্রেরণের জন্য দেশের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এবং কমিউনিটি লিডারদের অনুরোধ করা যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আওয়ামী লীগ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশের মুক্তি সংগ্রাম এবং স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী একমাত্র রাজনৈতিক দল। দেশের সব অর্জন আওয়ামী লীগের হাত দিয়ে এসেছে। শুধু স্বাধীনতা অর্জন কিংবা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা নয়, রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব চিরস্থায়ী, টেকসইকরণ এবং এর অর্থনীতির মজবুত ভিত্তিমূল জাতির পিতা তৈরি করে গেছেন। জাতির অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নিরাপত্তা ও মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পথনকশা ও নির্দেশনা তিনি দিয়ে গেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এই পথনকশা ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে তার চার মেয়াদে দেশে যুগান্তকারী উন্নয়ন করেছেন। পিতার পর কন্যার হাত দিয়েই জাতির ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোলমডেল হিসাবে পরিচিত।’
আওয়ামী লীগ তার প্রতিটি নির্বাচনি ইশতেহারে জাতিকে দেওয়া প্রতিটি অঙ্গীকার শতভাগ প্রতিপালন করেছে বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়। এতে বলা হয়, শুধু তাই নয়; আওয়ামী লীগের প্রতিটি ইশতেহারেই সরকারের নির্দিষ্ট মেয়াদের বাইরে দীর্ঘমেয়াদি নানা উন্নয়নের পথনকশা ছিল। এর প্রতিটিই অত্যন্ত সুচারুভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে।