Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

চার দশক পর চীনের আইসিবিএম পরীক্ষা নিয়ে কেন উদ্বিগ্ন প্রতিবেশীরা?

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৭ পিএম

চার দশক পর চীনের আইসিবিএম পরীক্ষা নিয়ে কেন উদ্বিগ্ন প্রতিবেশীরা?

চীনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা

চার দশকেরও বেশি সময় পর বুধবার প্রশান্ত মহাসাগরে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালিয়েছে চীন। চীনের পক্ষ বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে জানিয়েই এই পরীক্ষা চালিয়েছে তারা। তবে জাপানের দাবি, এ বিষয়ে তাদের কিছুই জানায়নি চীন। 

চীনের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় উদ্বিগ্ন প্রতিবেশী দেশগুলো। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা।

আন্তর্জাতিক পানিসীমায় আইসিবিএম নিক্ষেপ করা নিয়ে চীন বলেছে, এটি একটি ‘নিয়মিত’ পরীক্ষা এবং কোনো দেশ বা লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়নি।

আইসিবিএম দিয়ে ‘পাঁচ হাজার পাঁচশ’ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি দূরত্বে আঘাত করা যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। যা সত্যি হলে চীন তার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম হবে। সে কারণেই উদ্বিগ্ন চীনের প্রতিবেশী দেশগুলো।

তাদের দাবি, এটি কোনো বার্ষিক পরীক্ষা ছিল না। কেননা চীন এর আগে তার সর্বশেষ আইসিবিএম’র পরীক্ষা ১৯৮০’র দশকে চালিয়েছিল। এছাড়া, চীন সাধারণভাবে এ ধরনের অস্ত্রের পরীক্ষা দেশটির অভ্যন্তরেই শিনজিয়াং অঞ্চলের তাকলামাকান মরুভূমিতে করে থাকে। এ কারণে দেশের বাইরে এবারের আইসিবিএম নিক্ষেপ করার ঘটনাকে ভিন্নভাবে দেখছেন পশ্চিমা বিশ্লেষকরা।

এ ব্যাপারে পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্লেষক অঙ্কিত পান্ডা বিবিসিকে বলেছেন, ‘এই ধরনের পরীক্ষা যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশের জন্য অস্বাভাবিক নয়, তবে এটি চীনের জন্য পারমাণবিক আধুনিকীকরণের অংশ। ইতিমধ্যেই যথেষ্ট পরিবর্তন এনেছে তারা। সন্দেহ নেই যে, এটি এই অঞ্চল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি প্রখর অনুস্মারক হবে। এশিয়ায় পারমাণবিক গতিশীলতা দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে এটা তাদের ভাবাবে।’

জাপান চীনের কাছ থেকে কোনো নোটিশ পায়নি বলে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডও এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। অস্ট্রেলিয়া বলেছে, ‘এই পদক্ষেপটি অস্থিতিশীল এবং এই অঞ্চলে ভুল গণনার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। যে কারণে বেইজিংয়ের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে তারা।’ 

অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড এটিকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত এবং উন্নয়ন সংক্রান্ত’ বলে অভিহিত করেছে।

চীনের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের জন্য আরেকটি ‘জেগে ওঠার আহ্বান’ বলে মনে করেন দক্ষিণ কোরিয়ার ইওয়া মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক লিফ-এরিক ইজলি। 

তার মতে, ‘ওয়াশিংটনের কাছে বার্তাটি হলো যে, তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে একটি সংঘাতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করলে আমেরিকা আক্রমণের ঝুঁকিতে পড়বে। একই সাথে এটি একটি উস্কানিমূলক পরীক্ষা... যা একাধিক ফ্রন্টে লড়াই করার জন্য চীনের সক্ষমতা প্রদর্শন করে।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম