ভিপিএন শব্দটার সঙ্গে আমরা প্রায় সবাই কম-বেশি পরিচিত। ভিপিএন-এর পূর্ণ রূপ হচ্ছে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (Virtual private network)। ভিপিএন ইন্টারনেটের এমন ভার্চুয়াল বা কাল্পনিক প্রাইভেট নেটওয়ার্ক, যার মাধ্যমে নিরাপদে তথ্য আদান-প্রদান করা হয়। সহজভাবে বললে, VPN একটা কাল্পনিক ‘টানেল’ বা সুড়ঙ্গের মতো।
দ্রুত বাড়ছে ভিপিএন ব্যবহারকারীর সংখ্যা। বিশ্বজুড়ে অন্তত ১৬০ কোটি মানুষ বর্তমানে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা ভিপিএন ব্যবহার করছে। এটি সারা বিশ্বে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার প্রায় ৩১ শতাংশ।
মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের তথ্যমতে, বিশ্বজুড়ে দ্রুত বাড়ছে ভিপিএন ব্যবহারকারীর সংখ্যা। ২০৩০ সাল নাগাদ এই শিল্পের আকার ১০ হাজার ১৩১ কোটি মার্কিন ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিনামূল্যে এই প্রযুক্তিটি ব্যবহার করা হয়। ব্যবহারের জন্য সেরা তিনটি ভিপিএন হলো- প্রোটন ভিপিএন, অ্যাটলাস ভিপিএন ও র্যাপ।
প্রোটন ভিপিএন (ProtonVPN): এই ভিপিএনটি তৈরি করেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রোটন টেকনোলজিস এজি। প্রোটন ভিপিএন শক্তিশালী এনক্রিপশন প্রোটোকল এবং একটি কঠোর নো-লগ নীতি (ব্যবহারকারীদের আইপি অ্যাড্রেস এবং ব্রাউজিং হিস্টোরিসহ কোনো ডাটা সংগ্রহ করে না) মেনে চলে। অর্থাৎ ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তাকে তারা অগ্রাধিকার দেয়। প্রোটন ভিপিএন একটি বিশ্বব্যাপী সার্ভার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে। তবে বিনামূল্যে ব্যবহার করলে এই ভিপিএনের সুবিধাগুলো সীমিত আকারে পাওয়া যাবে। বাংলাদেশের নিরাপত্তাসচেতন ব্যবহারকারীদের জন্য এটি হতে পারে ভালো একটি অপশন।
অ্যাটলাস ভিপিএন (AtlasVPN): পিকস্টার টেকনোলজিস ইনকর্পোরেটেড এই ভিপিএনটি তৈরি করেছে। অ্যাটলাস ভিপিএন শক্তিশালী এনক্রিপশন এবং নো-লগ নীতিসহ নিরাপদ ব্রাউজিং অফার করে। ফ্রি প্ল্যানটিতে মৌলিক কিছু ফিচার ব্যবহার করা যায়। তবে এটি আপনাকে অনলাইনে পরিচয় গোপন রাখার সুযোগ দেবে।
র্যাপ (WARP 1.1.1.1): WARP 1.1.1.1 তৈরি করেছে ক্লাউডফ্লেয়ার। এটি নিরাপদ এবং দ্রুত গতির ইন্টারনেট সংযোগের উপর গুরুত্ব দেওয়া একটি মোবাইল অ্যাপ। নিরাপদ ব্রাউজিং এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবিলায় এটি ক্লাউডফ্লেয়ারের গ্লোবাল নেটওয়ার্কের সুবিধা দেয়। যদিও প্রথাগত ভিপিএনের সব সুবিধা WARP দেয় না। তবে যেসব মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বিনামূল্যে এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য সমাধান খুঁজছেন তাদের জন্য এটি ভালো বিকল্প।