চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষাকে গানের সুরে ছড়িয়ে দেন স্বজন আহসান আরিফ
মাহবুব পলাশ
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:০০ পিএম
যুগান্তর স্বজন সমাবেশ মীরসরাই উপজেলা শাখার আয়োজনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আহসানের গান যেন অনন্য প্রাণ। এছাড়া অনলাইনেও এ স্বজনের গান সাড়া পাচ্ছে ব্যাপকভাবে।
‘আধা রাইতুত আঁজি যাইগো তোঁয়াই ন পাই মন, তোঁয়ার লাই বুলি বুক ফাডি যার ও পরানর ধন’-এমন প্রেমময় আহ্বান, মনকাড়া সুর, সত্যিই মন কেড়ে নেওয়ার মতোই। বলছি আহসান আরিফের ‘দুবাই ওয়ালার বউ’ শিরোনামের গানটির কথা। গীতিকবি আহসান আরিফের সুর ও কণ্ঠে ছোট্ট গানটি ইউটিউব থেকে ফেসবুকে বেশ সুনাম কুড়াতে দেখা গেছে।
এ গীতিকবি ও সুরকার ইতোমধ্যে নিজের লেখা ও সুরে ‘প্রেমর আলাপ’ শিরোনামে গানটি দিয়েও আলোচনায় আসেন। সংগীত জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন তারই লেখা কায়সার হামিদের কণ্ঠে ‘অ ভাবি ভাবিরে, মনত ন মানের আর বিয়ে গরাই দনা’ গানটি দিয়ে। তিনি ২০০৪ থেকে গান লিখলেও গীতিকবি হিসাবে সবার কাছে পরিচিতি পান ‘অ ভাবি’ শিরোনামের গানটি দিয়ে।
তার পর থেকে একের পর এক গান লেখার আহ্বান আসতে শুরু করে। তার উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে ‘আঁই তো দুবাইওয়ালা’, ‘ওরে ননাই’, ‘মনে খাজা প্রাণে খাজা’ অন্যতম। সর্বশেষ ‘দুবাইওয়ালার বউ’ শিরোনামের গানটি শ্রোতাদের বিমোহিত করে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার সম্ভাবনাময় শিল্পী ও সুরকার হিসাবে নিজের স্থান করে নিচ্ছেন ধীরে ধীরে।
এ শিল্পীকে নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে চট্টগ্রামের আরেক বেতার ও টেলিভিশন গীতিকবি শাখাওয়াত উল্লাহ রিপন বলেন, ‘এমন প্রতিভাবান তরুণরা আগামী দিনে চট্টগ্রামের ভাষাকে কেন্দ্র করে সুরের জগতে কাজ করলে অবশ্যই আমরা সৃজনশীলতায় সুখ্যাতি অর্জন করব।’
ইতোমধ্যে এ গীতিকবি মীরসরাইয়ে যুগান্তর স্বজনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ৪র্থ আন্তর্জাতিক কবি সমাবেশ ২০২২-এর অনুষ্ঠানে সম্ভাবনাময় গীতিকবি হিসাবে নাট্যজন ও সাংবাদিক প্রদীপ দেওয়ানজির কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন।
বর্তমানে কাজ চলছে আহসান আরিফের কথা ও সুরে পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমানের নির্দেশনায় শিল্পী পারভেজ আর ছমিরার কণ্ঠে ‘পাশর বাড়ির পোয়া’, ‘ননাইয়া বউ’, ‘রসর তালতো ভাই’ ও ‘চাটগাঁ শহর’ শিরোনামে আরও একাধিক গান নিয়ে।
শান্তা ভৌমিকের কণ্ঠে প্রচারিত হবে ‘দুবাইওয়ালা জামাই’, ‘রাইক্কুম তোরে নজরত’ এবং আরও একটি রোমান্টিক গান আরিফের কথায় কায়সার হামিদের সুরে মুক্তির অপেক্ষায়। গীতিকবি, সুরকার ও শিল্পী আহসান আরিফ বলেন, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষাকে উপজীব্য রেখে আমি আঞ্চলিক লোক ঐতিহ্য প্রজন্মের কাছে ধরে রাখতে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি সবার ভালোবাসা পেলে তা সম্ভব।’